সিলেট নগরীর খাদিমপাড়া এলাকায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ৬ পরিবারের চলাচলের একমাত্র এজমালি রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামাল আহমদ কামাল সিলেটের জেলা প্রশাসক, র্যাব-৯ এর অধিনায়ক, জেলা স্টেডিয়ামের আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী অফিসার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বরাবরে অভিযোগ প্রদান করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার শাহপরান থানার বহর মৌজার জে এল নং ৭০, খতিয়ান নং- ৫০৪/১৫৯৮, ডিপি ১৭৮৪, বর্তমানে সে. জ. জে এল নং ৬১, দাগ নং- ৭৫, নালিশা রাস্তা রকম ভ‚মি ৭.৫০ শতক রাস্তাসহ বাড়ী।
পুলিশি তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি জামাল আহমদ ও শরীকানদের মালিকানাধীন প্রাইভেট রাস্তা।
শাহপরান (রহ.) থানা প্রদত্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় নালিশা ভ‚মি দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন রাস্তার তলদেশ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ভ‚মির এস এ রেকর্ডিয় মালিকগণ জমি বিক্রয়ের সময় দলিলে উক্ত রাস্তাটিকে সরেয়াম রাস্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরকম কিছু দলিলে আবদুল খালিক বক্স স্বাক্ষী হিসেবেও স্বাক্ষর করেছেন।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা প্রদানের প্রেক্ষিতে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশে শাহপরান (রহ.) থানায় রাজু আহমদ প্রথম পক্ষ হয়ে আবদুল খালিক বক্সদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন তার তদন্ত প্রতিবেদনে নালিশা ভ‚মির রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সরেয়াম রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ৫/৬ পরিবার এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।