সিলেটের ওসমানীনগরে মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত ও মহাসড়কের আংশিক অংশ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল মুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বানিজ্যিক কেন্দ্র গোয়ালাবাজারে এই অভিযান পরিচলনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। অভিযানে ৮টি ব্যাটারিচালিত টমটম আটক করা হয় জরিমানা করা হয় আরো বিভিন্ন ১৪ টি গাড়িতে। পাশাপাশি মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসায়া পরিচালনাকারী দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হওয়ার পর প্রশাসন চলে আসলে পুণরায় মহাসড়ক ও ফুটপাত দখলে নেয় ব্যাটারি চালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার ব্যস্ততম বাজার গোয়ালাবাজার। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবাসায়ী ও চালকদের কারণে বাজারে শৃঙ্খলা বিনস্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত জনসাধারণের চলাচলের ফুটপাতসহ মহাসড়কের আংশিক অংশ দখলে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। অন্যদিকে, যত্রতত্র পার্কিং করে রাখা হয় ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা। ফলে দূরপাল্লার যানবাহন বাজার পাড়াপারে আটকে যায় যানজটে। এতে করে ভূগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীসাধারনসহ রোগী বহনকারী এম্বোলেন্সদের। মহাসড়কে দু’পাশে ভাসমান ফল ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ব্যবাসায়ীদের ফেলে রাখা বর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। চলাচলের ফুটপাত দোকানপাটের দখলে থাকায় পথচারীসহ বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচল করছেন। এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড়-অসংখ্য দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে প্রশাসন যেন নির্বিকার। লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করায় সু-ফল মিলছে না দখল উচ্ছেদে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। বিগত সময়েও একই ভাবে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও পুনরায় দখল হয় ফুটপাতসহ মহাসড়কের আংশিক অংশ। তাই দখলদারদের স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কমনা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এরখম অভিযান হর হামেশাই হচ্ছে। পুলিশ আসলে দখলদাররা চলে যান, পুণরায় ফেরত আসেন। এমন অভিযান অব্যাহত থাকলে, আর অভিযানের প্রয়োজনীয়তা কি? স্থানীয়ভাবে এর সমাধান করা উচিৎ।
সকালে উচ্ছেদ বিকালে পুণরায় মহাসড়কের আংশিক অংশ ও ফুটপাত দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্য আবু তাহের বলেন, পুলিশ সুপার নিজে উপস্থিত ছিলেন। আমরা ১৪ টি গাড়িতে মামলা দিয়েছি। দখল উচ্ছেদ করেছি। আমরা আসার পর দখল হলে পুণরায় ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, উচ্ছেদের পরও যদি দখল হয়ে থাকে তাহলে, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।