মৌলভীবাজারে তিনটি ওষুধ কোম্পানির ডিপোতে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা শামীম আহমেদসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারের একমি ওষুধ কোম্পানির ডিপোতে প্রথমে ৪৮ হাজার টাকা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি বেক্সিমকো কোম্পানির ডিপো থেকে ৬৮ লাখ এবং সবশেষ ১০ মে ওরিয়ন কোম্পানির ডিপো থেকে ৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। সব ঘটনাতেই মৌলভীবাজার সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়।
প্রথম ঘটনার পরই মৌলভীবাজার সদর থানা কাজ শুরু করে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেনের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরণ বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহা, এসআই রানা মিয়া, এএসআই সাইদুর রহমানকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, গোপন সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৭ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের মূল হোতা শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মুকিত মিয়া নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ৪দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি শামীম আহমেদ গত ২২ মে বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত শামীম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয় গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত শামীম মিয়র হেফাজত থেকে লুট করা ১৩ লাখ টাকায় কেনা একটি নোয়া মাইক্রোবাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত কেডস, ইলেকট্রিক কাটার ও হেক্সাবেড জব্দ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা ঘটনার পর থেকেই কাজ শুরু করি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রথমে মুকিত মিয়াকে গ্রেফতার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ আর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূলহোতা শামীমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান, এই চক্রটি সিলেট অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে। তিন বছর আগে সিলেটের ওসমানীনগর থানা এলাকায় এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুটের ঘটনায় ঢাকা থেকে আসামি শামীমকে ও গ্রেফতার হয়েছিল। আমরা এই চক্রের বাকি সদস্যদেরকে গ্রেফতারে কাজ করছি।