সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মোদাহরপুর গ্রামের একটি বসতঘরের বারান্দা থেকে মিজানুর রহমান (১৯) নামের এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মিজানুর উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ বলছে, কলেজছাত্র মিজানুর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। তবে তাঁর পরিবার বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে মোদাহরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রাতের খাবার খান। পরে আজ ভোর ৪টার দিকে তাঁর বোনের স্বামী নবী নূরের (৩৫) সঙ্গে কথা বলে বসতঘরের পূর্ব পাশে বৈঠকঘরে ঘুমাতে যান। পরে সকাল ৬টার দিকে অপর এক স্বজনের বসতঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মিজানুরকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন তাঁর ফুফু ঝুমঝুমা বেগম (৩০)। খবর পেয়ে সকাল সোয়া নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ঘটনার পর থেকে মিজানুরের ওই স্বজন ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মিজানুর রহমানের বড় ভাই কৃষক অপু মিয়া বলেন, ‘মামার বাড়ির লোকজন মিজানুরকে মারধর করে হত্যার পর বসতঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আমার ছোট ভাই ও মামাতো বোনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে গ্রামে সালিসও হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য কে কে দায়ী, সে তার ডায়েরিতে তা লিখে গেছে। ডায়েরিটা ও মিজানুরের মোবাইল থানা-পুলিশ নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনায় থানায় মামলা করব।’
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, কলেজছাত্রের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।