জামালগঞ্জ উপজেলায় জেলা সদরের সাথে সংযোগ সড়কের (জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ রাস্তার )বেহাল দশা ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর অবহেলার গাফলতির প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে ) বিকেলে নোয়াগাঁও বাজারের মাহমুদ আলী ম্যানশনের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে ভীমখালী ইউনিয়নের যুব সমাজ ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
সাইদিল মুরসালিনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট শাহিনুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রশীদ আহমদ, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নোওয়াগাঁও বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম কাপ্তান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সেলিম আহমদ জায়গীরদার, ভীমখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির সাইফ উজ্জ্বল,আবাবীল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল্লাহ আলমগীর, গীতিকার ইমরুল কয়েস, জুবায়ের আহমদ, রেজা,জমির হোসেন, আখলাখুল আম্বিয়া শিরিন ও ফয়জুন্নুর প্রমূখ। এসনয় উপস্থিত ছিলেন ভীমখালী ইউনিয়ন সহ উপজেলার যুবসমাজ ও সচেতন নাগরিক বৃন্দ।
বক্তরা বলেন, ২০২২ সালের বন্যার পর থেকে জামালগঞ্জ - সুনামগঞ্জ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে জলাবদ্ধতা তৈরি হলেও কোন ধরনের সংস্কার হয়নি। জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী , নারীরা সহ ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলগামী শিশু ও রোগীদের চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি রাস্তায় পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর জানালেও রাস্তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে। নারীরা এই রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।এই রাস্তায় পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও পূর্ণ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। কর্মসূচি শেষে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানেরও ঘোষণা দেন।
উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, বিগত ১৪ বছর যাবত এই রাস্তায় কোন কাজ হয়নি। আমি এখানে আসার পিডি স্যারের সাথে কথা বলেছি এবং কাগজপত্র প্রেরণ করেছি। বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক স্যারের সাথেও কথা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই মাসে হিলিপ প্রকল্পের বরাদ্দ পাব। বরাদ্দ পাওয়া সাথে সাথে টেন্ডার হবে এবং রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য এটি জামালগঞ্জের উপজেলা প্রশাসন সহ তিনটি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষের সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা।