সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আমান উদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় তাকে এ পদ থেকে বরখাস্ত করে মন্ত্রনালয়। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।
এদিকে আমান উদ্দিনকে বরখাস্তের পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আলতাফ হোসেন আইন অনুযায়ী এই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে দাবী করছেন। তবে তিনিও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় একটি পক্ষ তাকে মেনে নিতে পারছেনা। তিনি একটি ওয়ার্ডের টানা ৬ বারের ইউপি সদস্য। ইউপি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামীলীগের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমান উদ্দিনকে নিয়মিত অফিসে না পাওয়ায় নাগরিক সেবা পেতে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বরখাস্ত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১। এ কারণে চেয়ারম্যান বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যা একটি পক্ষ মেনে নিতে পারছেনা। তাদের দাবী, এক আওয়ামীলীগকে সরিয়ে একই দলের আরেকজনকে বসানো ঠিক নয়।তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ নজমুল ইসলামকে দেখতে চায়। তিনি আওয়ামী বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ বিধিমালা-৩৪ এর উপধারা ২ অনুযায়ী, সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশের পর তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ধারা ৩৩ এর বিধানমতে নিয়মিত প্যানেল চেয়ারম্যানের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামি হওয়ার পরও তিনি গোপন স্থানে বসে নাগরিক সুবিধা দিয়েছেন। শুধু সরকারি সভায় উপস্থিতিতে তার ছিলো না। উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি সরোয়ার হোসেন এর ভাই আওয়ামীলীগের স্থানীয় সভাপতি আলতাফ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। সরোয়ার তার ভাইকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে থাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়েছে এবং সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তার ভাইকে গতকাল চেয়ারম্যানের অফিস দখল করে কোন ধরণের সরকারি আদেশ ছাড়াই চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসিয়ে দেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, বিধি অনুয়ায়ী বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।