সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের বেতকোনা গ্রামে মালিকানাধীন জায়গায় ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
শুক্রবার(১৬ মে) শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর বেতকোনা গ্রামের বিরাম বক্সের পুত্র গয়াস মিয়া (৬৫) গংদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ছোটভাই সুজুক মিয়া(৫০)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত গয়াছ মিয়া অভিযোগকারীর আপন বড়ভাই হলে তারা অত্যান্ত উগ্র, দাঙ্গাবাজ, পরধনলোভী, প্রভাবশালী, লাঠিয়াল লোক । অভিযোগকারী সুজুক মিয়া একজন প্রবাসী। প্রবাস থেকে কিছুদিন আগে দেশে এসে তার মালিকানাধীন জায়গা ও আরেক ভাইয়ের কাছথেকে বিনিময়কৃত ১৯ শতক জায়গায় বিগত আট বছর পূর্বের নির্মাণাধীন পাকাঘর পরিপূর্ণ করার জন্য কাজ শুরু করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা ঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়৷ তখন ভুক্তভোগী ঘর নির্মাণে কেন বাঁধা দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা সুজুক মিয়াকে মারধর করার জন্য আসেন।
এসময় আসামীগণ বাদীর ক্রয়কৃত বালু পাথর লুট ও বসতঘর ভাংচুর করে৷ তখন বাদীর সুরচিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আসামীগণ চলে যায়। যাওয়ার সময় আসামীগণ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শণ করে বলে বাদীর নির্মাণাধীন বসত ঘর জোর পূর্বক দখল করবে। যদি এই ঘরে আর কোন কাজ করা হয় অথবা গাছ কাটলে পরিবারের কাউকে সুযোগমত পাইলে খুন খারাপিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে। এমন পরিস্থিতিতে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা ও আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সুজুক মিয়া।
অভিযোগকারী সুজুক মিয়া বলেন, আসামী আমার আপন ভাই হলেও তিনি অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। নিজ স্বার্থের জন্য তিনি আমার ঘর নির্মাণে বাঁধা দিয়েছেন। আমার মালিকানাধীন গাছ বিক্রি করেছিলাম, সেই গাছ নিতেও তিনি বাঁধা দিচ্ছেন৷ আমি প্রবাস থেকে এসে অসহায় হয়ে পড়েছি৷ আমার পরিবার নিয়ে আমি অন্যের ঘরে আছি। যদি ঘর নির্মাণ না করতে পারি আমরা কোথায় গিয়ে থাকবো। আমি এর বিচার চাই।
কথা হলে অভিযুক্ত গয়াছ মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আকরাম আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।