সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

শাহজালালের মাজারে ওরস শুরু, অশ্লীলতা বন্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

৭ শতাধিক বছরের ধারাবাহিকতায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে।  রোববার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে মাজারে গিলাফ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৭০৬তম ওরসের আনুষ্ঠানিকতা। 

এবছর প্রথা ভেঙে অসামাজিকতা ও অশ্লীলতা বন্ধ করে শুরু হয়েছে ওরসের কার্যক্রম। অন্যান্য বছরের মতো এবছর ভক্ত-আশেকানদের আসর বসেনি মাজার এলাকায়। অসামাজিকতা ও অশ্লীলতা বন্ধ রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শেষ পর্যন্ত অসামাজিকতা কতটুকু ঠেকানো সম্ভব হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 

প্রতিবছর আরবি মাসের ১৯ ও ২০ জিলকদ দুই দিনব্যাপী হযরত শাহজালাল (র.) এর ওরস অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ওরসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান জড়ো হন শাহজালালের মাজারে। গিলাফ ছাড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওরসের আনুষ্ঠানিকতা।

রোববার সকালে শাহজালালের মাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ভীড় জমিয়েছেন মাজারের ভক্ত-অনুরাগীরা। সকাল ১০টার দিকে মাজার কর্তৃপক্ষের গিলাফ ছড়ানো মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এরপর দলে দলে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রবেশ করেন মাজারে। এসময় ’লালে লাল, বাবা শাহজালাল’ স্লোগানে মুখরিত করে তুলেন মাজার এলাকা। 

এদিকে, প্রতিবছর ওরসে মাজারের আশেপাশের এলাকায় সামিয়ানা টানিয়ে আসর বসান ভক্তরা। তবে রোববার সকাল থেকে এরকম কোনো আসর বসাতে দেখা যায়নি। মাজারের পেছনে একটি জায়গায় বসে ভক্তদের মিলাদ পড়তে দেখা গেছে। তাছাড়া সার্বিক নিরাপত্তায় অস্থায়ী পুলিশ বক্স স্থাপন ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা গেছে।

এর আগে ওরস উপলক্ষে গত শুক্রবার বিকেলে মাজার এলাকা পরিদর্শন করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম। পরে তিনি মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, শিরক ও বিদআতমূলক কার্যক্রম পরিহার করে এবছর ওরস সম্পন্ন হবে। ভক্তদের নিরাপত্তার স্বার্থে মাজার প্রাঙ্গণে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।   পোশাকধারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে মাজার প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করবেনআইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, নামাজ ছাড়া মাজারে যাতে কেউ সেজদা না দেন, শিরক-বিদ’আতমূলক কাজে জড়িত না থাকেন এ লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিতরণ ও মাজার আঙ্গিনায় পোস্টার স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নারীরা পর্দার সঙ্গে অবস্থান করবেন। তাছাড়াও কেউ যেন মদ-গাঁজার আসর না বসান সে বিষয়টি তদারক কমিটি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

এই সম্পর্কিত আরো