সুনামগঞ্জে কলেজ ছাত্রীর ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মেহেদী হাসানকে বুধবার দিনগত রাত ২ টায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে কোর্টে চালানের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার ফেসবুকে মাদকবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরতলীর গুচ্ছগ্রামে গভীর রাতে কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালী এলাকায় একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন দেওয়ার আগের দিন কলেজছাত্রীর ঘরের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেয় একই গ্রামের মাদকাসক্ত মেহেদী হাসান নামের এক যুবক। এরপর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি গ্রুপে পোস্ট দেন কলেজছাত্রী। পোস্ট দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই হঠাৎ তারা দেখতে পান, তাদের ঘরে আগুন জ্বলছে। ভুক্তভোগী পরিবারের চিৎকার শুনে গ্রামের বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। তারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ঘরের বাইরের অংশসহ টিন ও মালপত্র পুড়ে যায়।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাষ্য, গ্রামের মাদকসেবীদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। ফেসবুক গ্রুপ সুনামগঞ্জ হেল্পলাইনে তাদের গ্রামের মাদকসেবীদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাদের নানাভাবে বিরক্ত করছে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে একই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান। সে এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ওই কলেজছাত্রী বলেন, তাদের সন্দেহ মেহেদী হাসান তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মেহেদী গতকাল বিকেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘুরেছে ও মানুষকে গালাগাল করেছে। ভয়ে কেউই তাকে কিছু বলতে চায় না।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বোন ফারজানা বলেন, তার ভাই ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন লাগায়নি। আগুন লাগানোর ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে আগুনের ঘটনায় তাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।