মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষারের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে চোর সন্দেহে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চকসালং গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত যুবক কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ১২ মে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী স্থানীয় নয়া বাজার থেকে ভূল পথে হারিয়ে যায়। রাতে তাকে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে চোর সন্দেহ আটক করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ এর উপস্থিতিতে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। এসময় থাকে অনেকেই প্রতিবন্ধী বললেও চোর সন্দেহ আরও বেশি পিটানো হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশা করে তার বাড়ির পাশে রেখে যাওয়া হয়।
নির্যাতিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছেনা। শুধু বলছে কারা জানি তাকে চোর ভেবে খুব মারধর করেছে। সে অনেকবার অনুরোধ করছে তাকে না মারার জন্য, কিন্তু কেউ তার কথা শুনেনি। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
টিলাগাঁও ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, লোকজন চোর সন্দেহ হয়তো পিটিয়েছে। এলাকায় কিছু দিন আগে ২টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কনক কান্তি সিনহা বলেন, প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।