বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
বাস্তব অভিজ্ঞতায় শেখা: শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নিউরো-এডুকেশনের যুগল প্রয়াস এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলা - দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণে অনুপস্থিত বাদী ও ভুক্তভোগী জাতীয় সংগীত অবমাননা - প্রতিবাদে জাসাসের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন নির্বাচন না হওয়ায় স্থবির মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,আসছেন না মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ আদালতে মমতাজকে ধাওয়া পর্নো তারকা থেকে বলিউডে, সানি লিওনের জানা-অজানা গল্প জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
advertisement
সিলেট বিভাগ

নির্বাচন না হওয়ায় স্থবির মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,আসছেন না মুক্তিযোদ্ধারা

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আধুনিক মানের তিন তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই ভবন গুলো অনেকটা পরিত্যক্ত ছিল নানান কারনে।

এদিকে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের ক্যাম্পাস মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে খুব বেশি কাউকে আসতে দেখা যায় না। এ ছাড়াও নির্বাচন না হওয়ায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগন।

অপর দিকে নির্বাচিত কমিটি না থাকায় উপজেলা সংসদের নেই কোনো কার্যক্রম। প্রশাসনিক সহ যতটুকু কার্যক্রম রয়েছে তাও চলছে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)বাস্তবায়নে জেলায় ১১টি উপজেলায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এক বছরের মধ্যে কোনো উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বরাদ্ধ ১ কোটি ৯০ লাখ কোনটির বরাদ্দ আরো বেশী ছিল আবার কোনটির বরাদ্দ কমও ছিল। সে হিসাবে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

বিশ্বম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা সহজেলার বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন গুলোর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিসে প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ায় অধিকাংশ সময় তালাবদ্ধ থাকে কার্যালয়। ফলে এক সময়ের জমজমাট এই সংগঠনটি ক্রমেই অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে। নিয়মিত মুুক্তিযোদ্ধাগণ না আসায় এবং কোনো কার্যক্রম না থাকায় অনেকটা ভূতুড়ে প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। ভবনের অধিকাংশ রুমের দরজা-জানালা ভাঙা চুরা রয়েছে। বহিরাগত অনেকেই ভবনের ভেতরে বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখেছেন। আর যে কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এর কক্ষ ভাড়া দেয়া হয়েছে সেগুলো চলছে কোনো রখমে। কারন ভবন গুলো উপজেলা সদর ও বাজার থেকে দুরে থাকায় দোকান কোটা ভাড়া নেয়ার আগ্রহ কম।

বিরোধী রাজনীতিক নেতাকর্মী,মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ রয়েছে,কমপ্লেক্স গুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রমের চেয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অঘোষিত কার্যালয় হিসেবে বেশী ব্যবহৃত হবার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের যাতায়াত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। অতি রাজনীতি করণের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব ঠিকানা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বসতে অনীহা প্রকাশ করতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৩ মে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর নির্বাচন নিয়ে আর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারেরও এই নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্রে জানা গেছে,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পুনর্নিধারণ করে জামুকা অধ্যাদেশ তৈরি করা হচ্ছে। অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বড় পরিসরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরু করা হবে দেশ জুড়ে। এই কাজে মাঠ পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে।

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পাশের বাসিন্দাগন জানান,দুরের মুক্তিযোদ্ধা যারা তারা মাসে,বছরে এক বার আর খুব বেশি প্রয়োজন না পড়লে আসা হয় না আর ভবনের আশ পাশে যারা আছেন তারা মাঝে মধ্যে এসে দেখি চলে যান। বর্তমান সময়ে ত আসতেই দেখা যায় না মুক্তিযোদ্ধাদের।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য রাজু আহমদ জানান,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বিষয় গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভাল হয়। ভবনের কক্ষ গুলো ভাড়া দেয়া হলে আয়ের একটি খাত হলো।

 

সুনামগঞ্জ জেলা সাবেক ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ নুরুল মোমেন জানান,গত ১৭ সালে দায়িত্ব হস্তান্তর করার পর নির্বাচন না হওয়ায় সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। নির্বাচন হয় হচ্ছে হবে বলেই দিন যাচ্ছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এতে করে আমরা মুক্তিযোদ্ধাগন হতাশ আর ভবন গুলোতে শুন্যতা বিরাজ করছে। আর বর্তমান সরকার আহ্বায়ক কমিটি দিবে বলেও দিচ্ছে না।

 

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান জানান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ভবনটি সম্মানীত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। এই ভবনের দরজা তাদের জন্য সব সময় খোলা। এই ভবন ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সক্রিয় করতে চেষ্টা করছেন তিনি। ভবনের কক্ষ গুলোও ভাড়া দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এই সম্পর্কিত আরো

বাস্তব অভিজ্ঞতায় শেখা: শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নিউরো-এডুকেশনের যুগল প্রয়াস

এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণে অনুপস্থিত বাদী ও ভুক্তভোগী

জাতীয় সংগীত অবমাননা প্রতিবাদে জাসাসের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন

নির্বাচন না হওয়ায় স্থবির মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,আসছেন না মুক্তিযোদ্ধারা

হবিগঞ্জে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

আদালতে মমতাজকে ধাওয়া

পর্নো তারকা থেকে বলিউডে, সানি লিওনের জানা-অজানা গল্প

জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ