সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের বনগাঁও গুচ্ছগ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়ার কিশোরী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে প্রতিবেশী ইব্রাহিম মিয়ার ১২ বছরের ছেলে ইমন তাকে জোরপূর্বক টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপরই অভিযোগ অনুযায়ী, ইব্রাহিমের নির্দেশে তার স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রসহ গুচ্ছগ্রামে হামলা চালায়। হামলায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন রহিমা বেগম (৪১), সুমন মিয়া (৩৭), রহিম মিয়া (১১) সহ আরও দুইজন। আহতদের মধ্যে রহিমা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞার শরণাপন্ন হলে তিনি তাদের থানায় পাঠান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি। মেয়েটির হাত ভেঙে গেছে বলে শুনেছি। আমি তাদের আইনগত সহায়তার জন্য থানায় পাঠিয়েছি।'
জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজুল রহমান ভূঁইয়া বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। হামলার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।