অনুপ্রবেশ ও সহিংসতা ঠেকাতে সিলেট সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে।
বিজিবি সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৪৮ বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিলেটের তামাবিল নলজুরি এলাকায় গত ৮ মে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ জরিপ কার্যক্রম চলাকালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভারত অংশের তিনটি জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেট ব্যাটালিয়ন, ৪৮ বিজিবির পক্ষে অধিনায়ক নাজমুল হক বলেন, ‘সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে অনুপ্রবেশ, বহির্গমন এবং চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ভারতসংলগ্ন সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত অঞ্চলেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন ৪৬ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন আরও বেশিসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে সীমান্ত দিয়ে পুশইনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।