মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটে আ.লীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশীদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির এই নোটিশে তাঁকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত নোটিশটি মামুন রশীদকে পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও সম্প্রতি আপনি এমন কিছু কার্যক্রমে জড়িয়েছেন, যা সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তা দলীয় আদর্শ, শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী।

আপনার এ ধরনের অবস্থানকে সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যত বিরুদ্ধাচরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৯ মের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, মামুন রশীদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে শোকজের কপি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি হার্ডকপিও তাঁর হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে মামুন রশীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ রয়েছে, তা নোটিশে উল্লেখ করা হয়নি।

দলীয় একটি সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদ স্থানীয় একটি মসজিদে গেলে কিছু ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে মামুন রশীদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মামুন রশীদ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে আফসারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মামুন রশীদকে কারণ দর্শানো হয়।সিলেট ভ্রমণ প্যাকেজ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন রশীদ বলেন, ‘আফসার উদ্দিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তাঁর ভাই আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সহপাঠী।

সেই প্রভাব ব্যবহার করে এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলাও আছে। এলাকাবাসী আফসারকে ধরে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে।

আমি তাঁকে একটি কক্ষে রেখে রক্ষা করেছি।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আফসার উদ্দিন তাঁর ওপর নানাভাবে হয়রানি করেছেন বলেও দাবি করেন মামুন রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে কোনো সভা করতে দেওয়া হয়নি। আমার ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’

এই সম্পর্কিত আরো