সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা এবং মানব সম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁকে মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ মে) দুপুরে ইউনিয়নের চটি গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যেতে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় এলাকার মসজিদে গেলে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ তাঁকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসে বেশ কিছু সময় কথাবার্তা হয়। এ সময় সেখানে এলাকার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নেতা মামুনুর রশীদ বলেন, ওই চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তাঁর ভাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সহপাঠী। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব অত্যাচার করেছে এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা আছে। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ আফসার উদ্দিনকে ধরে তাঁর বাড়ি নিয়ে আসে। তিনি তাঁকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রেখে রক্ষা করেছেন।
ইউপি নির্বাচনের সময় আফসার উদ্দিন তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন উল্লেখ করে মামুনুর রশীদ বলেন, তাঁকে কোনো সভা করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর ব্যানার কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সায়েম বলেন, কানাইঘাট সদর ইউপির চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।