সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে স্ত্রীকে মারধর ও চুল কাটার অভিযোগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলার করেছেন শাশুড়ি। আজ রোববার গ্রেফতার যুবককে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে অভিযুক্তকে তাঁর নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক হলেন উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মৃত সুজন মিয়ার ছেলে রুমন মিয়া (২৩)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৯ মাসে আগে অভিযুক্ত রুমন মিয়া একই এলাকার কদমতলী গ্রামের কুরশ মিয়ার মেয়ে আঁখি বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। এর পর থেকে প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় ভুক্তভোগী আঁখি বেগমকে। এ নিয়ে একাধিক বার সালিসও হয়েছে। ২৬ এপ্রিল ৫০ হাজার টাকার জন্য আঁখি বেগমকে মারধরের একপর্যায়ে দা ও কাঁচি দিয়ে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৪ মে আঁখির মা সাহানারা বেগম বাদী হয়ে জামাত রুমন মিয়াকে প্রধান করে চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী সাহানারা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের লোকজন টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায়ই মারপিট করত। মেয়ের সুখের জন্য আমি এক লাখ টাকাও দিয়েছি। তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে বিচার পেতে মামলা করেছি।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।