বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
তামাবিল কাস্টমসের নিলাম বাগিয়ে নিতে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল-শ্রমিক সংঘর্ষ পরিণীতির আগের ভিডিও ভাইরাল করলেন নেটিজেনরা তিন নদীর বাঁধ খুলে দিয়েছে দিল্লি, বন্যা এড়াতে পাকিস্তানকে ভাসিয়ে দিল ভারত ১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ - কুশিয়ারা সাদা বালি হরিলুট, সংবাদ টনক নড়ল প্রশাসনের চুনারুঘাটে ৫৪কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি আটক সিলেটে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন-পরিবহনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ডিসির জেলা প্রশাসনের চিরুনি অভিযান - ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার, ১ জনের কারাদণ্ড তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলে অনেক ঝামেলা এড়ানো যেত: মির্জা ফখরুল চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উসকানিমূলক কার্যক্রম দেখামাত্র ব্যবস্থার নির্দেশ তিন উপদেষ্টার রুমিন একা যা করেছেন বিএনপির একশ নেতাও সেটা পারেননি: রনি
advertisement
সিলেট বিভাগ

কুলাউড়ার ৪ ইউনিয়নের মানুষ বন্যা আতঙ্কে, চরম ঝুঁকিতে মনু রক্ষাবাঁধ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি উৎপত্তিস্থল থেকে প্রবাহিত মনু নদী কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদরের ৭৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে একত্রিত হয়েছে। কুলাউড়া মনু নদীর পাড়ের ৪টি ইউনিয়ন-টিলাগাঁও, হাজীপুর, শরীফপুর ও পৃথিমপাশা। এ সকল ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন রয়েছেন। 

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বাদল নিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের তীরবর্তী স্থানীয় মানুষদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মনু নদীতে শীতের মৌসুমে পানির ক্ষীণধারা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এ সময় কোথাও কোথাও চর দেখা দেয়। আর বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নদীটি টুইটম্বুর হয়ে ওঠে। এদিকে মনু নদীর বন্যা প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। কয়েকটি জায়গায় আবার বিএসএফের বাধায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মনু পাড়ের মানুষ। বাঁধের কাজের অগ্রগতির জন্য স্থানীয়রা আগে থেকেই মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
জানা যায়, মনু নদীর বাঁধের কাজ চলছে ৪ বছর থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিএসএফের বাধা, জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ সংকট জটিলতায় ৫০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ২ দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু নদীর পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশের কারণে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিসারী। গৃহহীন হয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় বন্যাকবলিতদের। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান ওই সময় একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। তারপরও টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের গুদামঘাট নামক স্থানে প্রায় ৬শ’ ফুট বাঁধ ও মিয়ারপাড়া এলাকায় ৩শ’ ফুটের মতো বাঁধ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া ডেমা বিল এলাকায় ১শ’ ফুটের মতো ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

গতবছর বাঁধের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এ বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মনু নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকা। হাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর, দাউদপুর, সাধনপুর, মন্দিরা ও কাউকাপন বাজার এলাকা। শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল ও চানপুর এলাকা এবং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো ভাঙনের কবলে পড়বে বলে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম ব্যবস্থা নেয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

আশ্রয়গ্রাম এলাকায় বাঁধে নতুন মাটি ভরাট করা হয়েছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ কতটুকু নিতে পারবে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা।

জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, পৃথিমপাশা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে ২৮টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। যার চুক্তিমূল্য ৩০৭ কোটি টাকা। ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে স্থায়ী তীর-প্রতিরক্ষা কাজের ২০টি, চর অপসারণ কাজের ৪টি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতীকরণ কাজের ৪টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের প্রায় চার বছর হলেও কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। মেয়াদ শেষ হলে ২ দফায় সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে বন্ধ রয়েছে।

টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকার নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মনু নদীর গত বছরের ভাঙন স্থান হাজীপুর (গুদামঘাট) ও মিয়ারপাড়া মাটি ভরাট করে ব্লক দেয়া হয়েছে তবে কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড আব্দুল লতিফ জানান, মনু নদীর শিকড়িয়া (ডেমা বিল) এলাকায় গত বছর ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে এখনো করা হয়নি। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকা প্রতিরক্ষা বাঁধ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শিকড়িয়ার ভাঙনটি ভরাট না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।


কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। শিকড়িয়াসহ যে যে স্থানে বাঁধের অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এই সম্পর্কিত আরো

তামাবিল কাস্টমসের নিলাম বাগিয়ে নিতে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল-শ্রমিক সংঘর্ষ

পরিণীতির আগের ভিডিও ভাইরাল করলেন নেটিজেনরা

তিন নদীর বাঁধ খুলে দিয়েছে দিল্লি, বন্যা এড়াতে পাকিস্তানকে ভাসিয়ে দিল ভারত

১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ কুশিয়ারা সাদা বালি হরিলুট, সংবাদ টনক নড়ল প্রশাসনের

চুনারুঘাটে ৫৪কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি আটক

সিলেটে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন-পরিবহনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ডিসির

জেলা প্রশাসনের চিরুনি অভিযান ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার, ১ জনের কারাদণ্ড

তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলে অনেক ঝামেলা এড়ানো যেত: মির্জা ফখরুল

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উসকানিমূলক কার্যক্রম দেখামাত্র ব্যবস্থার নির্দেশ তিন উপদেষ্টার

রুমিন একা যা করেছেন বিএনপির একশ নেতাও সেটা পারেননি: রনি