সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ডাইক ও একটি সেতুর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসিল্যান্ডসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ দৈনিক সবুজ সিলেট-কে বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের দুর্ভোগ খুব কাছ থেকে দেখেছি। ঘটনার পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, আগামী ১৪ মে’র মধ্যেই উন্নয়ন কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হবে। আমি মনেকরি, শুধু ভাঙা অংশ মেরামত নয়—আশপাশ এলাকাসমূহকেও অন্তর্ভুক্ত করে একটি সুপরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস বালাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও স্থানীয় জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, আমরা ইউএনও ও এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। পূর্ব পৈলনপুরবাসী দায়সারা কাজ নয়, একটি টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী ডাইক উন্নয়ন প্রকল্প চায়। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দ্রুত কাজ শুরু হবে।
অন্য দিকে আজ বিকেলে একই এলাকা পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ সোহেল জানান, এই ভাঙন শুধু অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি নয়, এটি এখানকার মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। বছরের পর বছর ধরে নদীভাঙনের শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষ। সরকারের কাছে আহ্বান জানাই—দায়সারা সংস্কার নয়, স্থায়ী ও টেকসই ডাইক নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
এ দিকে এলাকাবাসীর মতে, বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসছে—প্রতি বছর কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে জমি-ঘরবাড়ি নদীগর্ভে হারিয়ে যায়। এবার যেন প্রকৃত অর্থে কার্যকর ও স্থায়ী উন্নয়ন হয়, সেই দাবি জানাচ্ছেন তারা।