নবীগঞ্জ পৌরসভার কেলি কানাইপুর গ্রামের মিশুক চালক আবিদুর রহমানকে হত্যাকারীদের ফাসিঁর দাবীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে এক বিশাল মানববন্ধন করেছেন নবীগঞ্জ রিক্সা মিশুক শ্রমিক সংগঠন। মানববন্ধন টি এক পর্যায়ে বিক্ষোভে পরিনত হয়।
রিক্সা ও মিশুক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ দিলাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সেলিম আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কানাইপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী সফিকুর রহমান, বাসদ আহ্বায়ক চৌধুরী ফয়সল শোয়েব, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ এমদাদুল হক, সাবেক কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম এবং নিহত আবিদুর রহমানের মা খালেদা বেগম প্রমুখ।
বক্তাগণ অনতিবিলম্বে আবিদুর রহমান হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দোষীদের আইনের আওতায় এনে ফাসিঁর দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২১ইং সালের ৩১ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে নবীগঞ্জ শহর থেকে পৌর এলাকার কেলী কানাইপুর গ্রামের মহিবুর রহমান ওরপে পাতা মিয়ার ছেলে আবিদুর ইসলাম (১৮) মিশুক গাড়ি নিয়ে নবীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে ফায়ার সার্ভিস স্ট্যাশনে জনৈক ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। যাত্রী নামিয়ে সেখান থেকে কোন দিকে যায় তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেন নি। এরপর থেকে তার কোন সন্ধ্যান পায়নি পরিবারের লোকজন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। অবশেষে নিখোজেঁর ৩ দিন পর (৩ সেপ্টেম্বর-২০২১ইং) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার সরিষপুর নামক স্থানে মরা কুশিয়ারা নদী থেকে ঘটনাস্থলে পৌছে কচুরী পেনার নীচে লুকিয়ে রাখা বিবস্ত্র ক্ষতবিক্ষত আবিদুর ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে লাশের পাশে থাকা কাপড় দেখে মৃতদেহ আবিদুর ইসলামের মর্মে সনাক্ত করেন আবিদুরের পরিবার।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মিশুক চালক আবিদুর ইসলামের নির্মম নৃঃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। টমটম ও মিশুক শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছিল আতংক ও উৎকন্ঠা।
এ ব্যাপারে নিহত আবিদুর ইসলামের বাবা মুহিবুর রহমান ওরপে পাতা মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৪/০৯/২০২১ইং, ধারা ৩৯২/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ তৎকালীন সময়ে সন্ধিগ্ধ ২ জনকে আটক করে জেলা হাজতে প্রেরন করলেও মামলার তেমন অগ্রগতি না পেয়ে বাদী পক্ষ মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে