সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাই মিয়া,তার ভাতিজা এনামুল হকসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক (২৮) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গুরুত্বর জখম করেছে।
তিনি এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
গত ৭মে বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাট-লেদারবন্দ গ্রামের যাওয়ার সড়কে হাফানিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক শফিক এর মা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার পুরানখালাস গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে খলিল মিয়া(৫৫),অলি মিয়া(৫০),আলাই মিয়া(৪৮)খলিল মিয়ার ছেলে শহিকুল মিয়া(৩২),এনামুল মিয়া(৩০),শরীফুল মিয়া(২৮),রেখাতুল মিয়া(২৫)সহ ১৯জনের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায়ের করে।
বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাই মিয়া স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার এবং তার আত্মীয় স্বজনরা যুবলীগের নেতা এবং প্রভাবশালী হওয়ার আহত চিকিৎসক ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার রয়েছে। মামলা দায়ের পর থেকে হামলাকারীরা নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পল্লী চিকিৎসা শফিকুল ইসলাম শফিক উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের লেদারবন্দ গ্রামের মৃত জুনাইদ মিয়ার ছেলে। হামলাকারীরা শফিকুল ইসলাম শফিককে মাথা,গলা,মুখসহ সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করায় বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মা।
এঘটনায় ৮মে বৃহস্পতিবার স্থানীয় আনন্দ বাজারে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী। এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।