সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মামলার অভিযুক্ত আট আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মামলাগুলো সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। তবে বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন হিসেবে আগামী ১৩ মে নির্ধারণ করেন।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আজ মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।‘
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মামলার ন্যায়বিচার ব্যাহত করতে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আপিল করা হয়, যা ছিল নজিরবিহীন।‘
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তিন দিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত ছয়জনসহ সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডিএনএ পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের সঙ্গে ধর্ষণের আলামতের মিল পাওয়া যায়। এরপর ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।