সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় তেলিয়া নতুন পাড়ায় এলাকায় চলাচলের রাস্তা দেয়াল উটিয়ে ৫০ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে। এতে ৫০ পরিবারের কয়েকশত মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছেন।
যার কারনে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা। শুধু তাই নয় সনাতন ধর্মাবল্বীদের শ্মশানের যেতে একমাত্র রাস্তা এটি। তাই দ্রুত সমাধান চান ভুক্তভোগীরা।
এব্যপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৭ই মে বুধবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্ত ভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায় জামালগঞ্জ মৌজায় সাবেক ১৬৭৮ দাগের মধ্য দিয়ে বর্তমান সেটেলমেন্টের জরিপে ৫৫৫৭ দাগের সরকারী রাস্তার তেলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে আব্দুর রশিদ গনি স্থায়ী দেয়াল নির্মান করে সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ বছর ধরে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোবের সৃষ্টি
হয়েছে।
এর আগেও ১৪০২ বাংলা সনে এই রাস্তাটি বন্ধ করে দিতে চাহিলে তৎকালনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করিলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মোহাম্মদ নাসিম অবৈধ দেয়াল ভেঙ্গে দেন।
জামালগঞ্জ নাথ বাড়ির বিজয় দেবনাথ বলেন আমাদের শ্মশানের একমাত্র রাস্তাটি দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এই রাস্তা বন্ধ করার কারনে ১জন লোক মারা গেলে শ্মশানে নিতে অনেক অসুবিধা হয়। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অতি দ্রুত রাস্তা থেকে দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তাটি চালু করে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটি উন্মোক্ত করে দেওয়ার জন্য।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ গনি জানান, আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকা হাসপাতালে আছি।আমি আসলে পড়ে যদি সরকারি রাস্তায় দেয়াল পড়ে আমি নিজে ভেঙ্গে দিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর জানান, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।