সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা

বিশ্বনাথে যুবদল-ছাত্রদলের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল হান্নান বাবুলকে প্রধান অভিযুক্ত করে বিএনপির সহযোগি সংগঠনের আর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরও ১২/১৩ অজ্ঞাত নামা অভিযুক্ত রাখা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল হান্নান বাবুল, পৌর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ছাত্রদল নেতা রায়হান আহমদ, সুজেল মিয়া, যুবদল নেতা আবদুর রহমান, সোহাগ মিয়া, রুপা মিয়া, আমজাদ আলী, সমর আলী, রুজেল আহমেদ, কামরান আহমদ, আহমদ আলী, মইনুল আহমদ, আবদুল আজাদ।


থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, বিগত ২০০৩ সাল হতে টানা চার বারের লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ২৮ এপ্রিল ১১টায় বাদী উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও উপজেলা সমন্বয় সভায় অংশ গ্রহন করেন। সভা শেষে দুপুর ২টায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বাসায় আরো একটি সালিশ বৈঠকে অংশ নিতে বের হন। উপজেলা পরিষদের মূল গেইট সংলগ্ন রাস্তায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা অভিযুক্তরা সঙ্ঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী ছুরি, চাকু, স্টিলের লাঠি, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাদীর সিএনজি গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় বাদীকে গাড়িসহ ঘিরে ফেলে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। অভিযুক্ত আবদুল হান্নান বাবুল হুকুম দিয়ে বলে যে, পূর্বে চাঁদা দেওয়ার কথা বলার পরও "কুত্তার বাচ্চা আইজ আমাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কিভাবে যায় দেখবো" বলার সাথে সাথে অন্য অভিযুক্তরা বাদীর প্যান্টের পিছনে পকেটে থাকা এক হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড যাহা বাংলাদেশী টাকায় এক লক্ষ ষাট হাজার ও আরও ৫৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন জোর করে নিয়ে যায়। 

লিখিত আভিযোগে বাদী আরও উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা পুণঃরায় বাদীর নিকট চাঁদা দাবী করে বলে যে, স্বাধীনভাবে চলতে হলে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে অভিযুক্তরা বাদীকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখাতে থাকে। অভিযুক্তদের দাবীকৃত  টাকা না দিলে তোকে (বাদীকে) জানে মের ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করে। হামলাকারীদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষার জন্য চিৎকার করলে পথচারীরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় পথচারীরা না আসলে অভিযুক্তরা বাদীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গুম-খুন করে ফেলতে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযুক্ত অনেকেই গত ৪ আগষ্ট পৌর শহরের আল হেরা শপিং সিটি হামলা-ভাঙচুর মামলার আসামি রয়েছেন বলে বাদীর তার লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল হান্নান বাবুল বলেন, এটা মিথ্যা ঘটনা। এটা ইউপি চেয়ারম্যানের সাজানো নাটক। এঘটনার সাথে বিএনপি কিংবা দলের কেউ কেউ জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সঠিক নয়।

থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই সম্পর্কিত আরো