মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

জাকারিয়ার মুক্তিতে নেতৃত্ব

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গে বহিষ্কার হলেন সিলেট শ্রমিকদল নেতা রাজন

সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম ও শ্রমিকলীগ নেতা মো. জাকারিয়া আহমেদের জামিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই সিলেট জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর রাজনকে সংগঠন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

 

রবিবার (৪ মে) সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সদস্য সচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ বহিষ্কারাদেশ পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর রাজনকে দলের বিরূদ্ধে সংগঠন বিরোধী শ্রমিকলীগের নেতাকে জামিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের সুপারিশক্রমে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করা হয়। উক্ত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। 

 

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনাসহ ৫ মামলা গত ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়া আহমদকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশ পরেরদিন (২৯ এপ্রিল) আদালতে জাকারিয়াকে হাজির করা হলে সেখানে  উপস্থিত হন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। এসময় সিলেটজুড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে চাপ সৃষ্টি হলে আদালত তার জামিন মঞ্জর করে। 


আদালত সুত্রে জানা যায়, সিলেট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদের উপস্থিতিতে বিএনপি মতাদর্শের এ্যাডভোকেট সাজ্জাদের ওকালতনামায় জামিন পান  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারি ও ৫ মামলার আসামী শ্রমিক লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ।

 

সেসময়ে আদালত প্রাঙ্গনে জাকারিয়ার মুক্তির জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শ্রমিকদল নেতা আলী আকবর রাজন।  জাকারিয়া আহমদকে গ্রেফতারের বিষয়টি মিথ্যা মামলা আখ্যায়িত করে পরিবহন নেতা মো. আলী আকবর রাজন সেসময়ে বলেছিলেন, আমাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন জাকারিয়া ভাইকে গতকালকে রাতে সম্পূর্নভাবে এক মিথ্যা মামলায় আটক করে নিয়ে আসে প্রশাসন। রাজনীতি যারতার, আমরা সবাই বলি শ্রমিকসব এককাতার। এই শ্রমিকের স্বার্থে উনি হয়তবা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর পাশে গিয়েছিলেন শ্রমিকের স্বার্থে, কিন্তু ওনার ব্যক্তিগত কোনো পারিবারিক সমস্যা বা জায়গা সম্পত্তির সমস্যার জন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার পাশে যান নাই। উনি কোনো শ্রমিকের হয়তবা কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা বা দাবি পুরনের জন্য কোনো প্রস্তাবের জন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশে যেতে পারেন।

 

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিলেট বিএনপি এবং সিলেট জাতীয়তাবাদী আইনজীবিদের নিয়ে নেটিজেনেরা বিরুপ মন্তব্য করছেন।  

এই সম্পর্কিত আরো