বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার দায়ে সিলেট আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-মেয়র-এমপিসহ ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানায় ২ মে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। নং-০১।
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা উক্ত মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও মেয়রসহ ২৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী উত্তর গ্রামের শেখ আবদুর রহমান জানির ছেলে শেখ শফিউর রহমান কয়েছে (১৮)। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকায় বসবাসরত করেন।
১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪সহ দন্ডবিধির ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪ ধারায় দায়ের হওয়া এই মামলায় ১৩৫ জনের নামোলেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে থানার এসআই মোহাম্মদ খবির উদ্দিনকে।
মামলায় এজহারনামীয় আসামিরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী (৬০), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার (৬৫), সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ চৌধুরী (৬৫), সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হুসাম উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫২), আওয়ামী লীগ ও বিএমএ নেতা ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (৬৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবির (৬৬), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন (৫০), সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলেন আহমদ (৫০), সিলেট-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সেলিম উদ্দিন (৫৬), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জগদিশ চন্দ্র দাশ (৫৫), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু (৪৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ (৫৮), বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর (৫৬), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিসিক’র সাবেক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম (৫৬), জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল হাই রেবুল (৫৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল ওয়ালী (৫০), সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ (৪৮), জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত মিয়া (৫৫), কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ (৫০), ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার তজম্মুল হোসেনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েত হোসেন খোকন (৪৫), সিলেট জেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ (৫৮), সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী (৪৫), পীরমহল্লা এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে মঈন খান বাবলু (৪৮), সিসিক’র ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে রাব্বী চৌধুরী (৫০), সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিন (৪৮), সুবিদবাজার এলাকার মৃত জগৎ জ্যোতি গোস্বামীর ছেলে শ্রী জ্যোতি লাল গোস্বামী (৪৭), সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহচর পারভেজ হোসেন (২৫), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কোকিল চন্দ্র দাসের ছেলে সমর দাস (৫০), আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহচর ব্রাহ্মবাড়িয়ার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানিম আহমদ (২৪), বন্দরবাজার এলাকার কাওছার (৪১), বদরবাজার এলাকার মোফাচ্ছির হোসাইন (৫১), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মৃত মহিম চন্দ্র দাশের ছেলে মহিতোষ দাশ (৬০), আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁদাবাজ নগরীর রাজারগলির আবদুর রশীদের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৭), ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুল আহাদ সুমন উরফে শিমন (৩০), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল কুমার বিশ্বাস (৪৫), বন্দরবাজার এলাকার ফয়েজ আবেদ (৩২), শাহজালাল দরগা অফিস কেরানী আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ যোগানদাতা সামুন মাহমুদ খান (৫৮), সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দীন মোহাম্মদ ফয়সল (৫০), যুবলীগ ক্যাডর শাহপরাণ পিরেরচক এলাকার মরহুম আজিজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে মনোয়ার জাহান চৌধুরী (৪৪), ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুছ সাদাত (৫২), গোলাপগঞ্জের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে দুলাল আহমদ (৩৮), ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ লিমন উরফে কুটি মনা (৩৫), সড়ক বিভাগের আমির হোসেন (৪৫), যুবলীগ ক্যাডার কানাইঘাটের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে মামুন আহমন উরফে ছেছরা মামুন (৩০), পীরের বাজারের মৃত উমর আলীর ছেলে জেলা যুবলীগ নেতা আবদুল কাদির (৪২), আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহচর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলালর মৃত সুলতান আহমদের ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪৮), ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার দিপন রঞ্জন দাস (৫০), বিশ্বনাথের মৃত ইরফান আলীর ছেলে যুবলীগ ক্যাডর কবির আহমদ উরফে পিস্তল কবির (৪০), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস জুয়েল আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা সৈয়দ কামাল উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ ইফতেখার আহমদ এলিছ (৪৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সমসের জামাল (৬০), ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ খলিলুর রহমান কামরান (৩৫), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের অফিস কর্মকর্তা রুবেল আহমদ (৩০), দর্শনদেউরী এলাকার মুন্দর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মুহাদ্দিকুন নবী (৪০), এলজিইডি কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন (৫৮), নগরীর রাজারগলি এলাকার সুজাক মিয়ার ছেলে নাঈম আহমদ চৌধুরী (২৩), গোয়াইনঘাটের আজিজুর রহমানের ছেলে খসরুল ইসলাম শামসুল উরফে চোরাকারবারি মোল্লা শামসুল (৩২), আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্ট সহচর নুর আজিজ (৪৮), চিকনাগুল এলাকার যুবলীগ নেতা তোফায়েল আহমদ (৩৫), একই এলাকার ফুরমত আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫), বিশ্বনাথে মৃত আরজান আলীর ছেলে রফিক আলী (৩৮), বন্দরবাজার এলাকার লেবুল দাস (৪৭), পিরেরচক এলাকার আনছার মিয়ার ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রিফাত আহমদ লিমন (২৮), চৌহাট্টা এলাকার মো. শফিকুর রহমান (৫০), গোলাপগঞ্জের মাহমুদুল হাসান (৫০), গোলাপগঞ্জের শফিক উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ ক্যাডার দুলাল আহমদ (৪২), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোবারক হোসেন (৩০), বন্দরবাজার এলাকার ফাহিম (৩০), আওয়ামী লীগ নেতা সাধন কুমার চাকমা (৫৮), গোলাপগঞ্জের মৃত আরফান আলীর ছেলে শওকত হোসেন (৪৫), শান্তিগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ছদরুল আমীন (৬০), সুবিদবাজার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা লিটন (৫০), বন্দরবাজার এলাকার জুনেল আহমদ (৪৩), যুব মহিলা লীগ নেত্রী গোলাপগঞ্জের সৈয়দ রুকন উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন বেগম (৩০), শাহজালাল উপশহর এলাকার মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে মো. ইমরান হোসাইন (৫৫), তাহিরপুরের আক্তার মিয়ার ছেলে মহানগর যুবলীগ নেতা মোঃ নাছির মিয়া (৩৫), কানাইঘাটের হাবিবুর রহমান উরফে হবই ড্রাইভারের ছেলে আপ্তাব উদ্দিন (৪০), বন্দরবাজার এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৮), শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহ্ শামছুর ইসলামের ছেলে শাহ রুবেল আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাই আজাদ (৬২), পিরুজপুর জেলোর মুতাছিয় গাজীল ছেলে মো. ফারুক গাজী (৪৫), পিরেরচক এলাকার আনহার মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নোত সিফাত আহমদ (২৫), শাল্লা এলাকার মহিতোষ দাশের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শিল্পী ধর (৪৫), বালুচর নতুনবাজার এলাকার যুবলীগ ক্যাডার আমির হোসেন (৪৬), সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী যুবলীগ নেতা নাঈম আহমদ চৌধুরী (৪৫), দিলাওর আলী, ওসমানীনগর উপজেলার মৃত জলিল মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জিলু মিয়া, ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি উমর আলী (৪৮), সাধারণ সম্পাদক সাজু মিয়া (৪৫), সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘনিষ্ট সহচর গোলাপগঞ্জের মৃত আছাব আলীর ছেলে যুবলীগ ক্যাডার আলীম উদ্দিন (৪৮), ফেঞ্চুগঞ্জের মো. তোতা মিয়ার ছেলে খালেদুজ্জামান (৪৫), সুবিদবাজার এলাকার মৃত সজিব উল্লাহর ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম (৪০), গোয়াইনঘাটের পাথরটিলা গ্রামের যুবলীগ ক্যাডার শেরগুল (৪৮), বন্দরবাজার এলাকার জিকরুল ইসলাম (৩০), কানাইঘাটের মামুন আহমদ উরফে ছিনতাইকারী মামুনের স্ত্রী যুব মহিলা লীগ নেত্রী মাহবুবা আক্তার পারুল (২৪), হেতিমগঞ্জের গাই মোল্লার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা বদর মিয়া (৫৮), গোলাপগঞ্জের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হান্নান (৪৫), গোয়াইনঘাটের মৃত বিনয় ভূষন ধরের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ধর (২৪), মীরের ময়দান এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম আজাদ (৪৫), দক্ষিণ সুরমা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা রিমন মিয়া (৩৫), গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক ইমদাদুল হক রাহাত (২০), বন্দরবাজার এলাকার চয়ন ছানি (৩৫), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মৃত তারিফ আলীর ছেলে সিলেট জেলা যুবলীগ ক্যাডার সুজাত আহমদ (৪০), শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহিদ উল্লাহর ছেলে যুবলীগ ক্যাডার মো. জুবের আহমদ (সাকু) (৩৮), বিশ্বনাথের দেওকলস ইউনিয়নের তেরাব আলীর ছেলে ও যুবলীগ ক্যাডার মুজিবুর রহমান (শ্যামল আহমদ) (৪৫), গালাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিলাদুর রহমান রিপন (৩৮), গোলপগঞ্জের হাত আহমদেও ছেলে ও ছাত্রলীগ ক্যাডার আবু দাইয়ান (৩০), গোয়াইনঘাটের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর একান্ত সহযোগী যুবলীগ ক্যাডার মো. আবদুল লতিফ (৪২), মোগলাবাজার এলাকার মৃত লালা মিয়ার ছেলে যুবলীগ ক্যাডার আলম মিয়া (৪৪) ও তার ভাই ছাত্রলীগ ক্যাডার রনি মিয়া (৩২), খাদিমনগর এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে যুবলীগ ক্যাডার মো. তোফায়েল আহমদ (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদেও ছেলে সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সহচর আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সাজন (৪৫), গোলাপগঞ্জের একলিম উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ ক্যাডার ফয়জুর রহমান (৪৫), গোলাপগঞ্জের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার কুহিনূর রাজা (২৫), মোগলাবাজার এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার ফরহান মিয়া (২৪), দরগাহ মহল্লা এলাকার মৃত ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ছেলে যুবলীগ ক্যাডার সলমান্ আহমদ চৌধুরী (৪৫), ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজমুলের সহযোগী মেজটিলার মৃত মনু মিয়ার ছেলে শারফিন মিয়া (৩২), গোলাপগঞ্জের মৃত মোশাররফ আলী খানের ছেলে দেলওয়ার হোসেন খান (৪২), জেলা যুবলীগ ক্যাডার সভাপতির সহচর মেজরটিলা এলাকার মনু মিয়ার ছেলে আরেফিন মিয়া (৩৫), খাদিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ ক্যাডার জুবের আহমদ (৪০), উপশহর এলাকার মো. কহিদ মিয়ার ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান (৪৫), ওসামানীনগর উপজেলার মৃত মহব্বত আলীর ছেলে তায়েফ আহমদ (৪২), যুবলীগ নেতা (আফসর গ্রুপ) রুমন আহমদ (৩৬), বাংলাদেশ বাস্তুহারা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি হেলাল আহমদ উরফে কানা হেলাল (৬০), গোলাপগঞ্জ উপজেলার মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মো. আশরাফুল ইসলাম (৩০), মোগলাবাজার এলাকার মৃত লালা মিয়ার ছেলে যুবলীগ ক্যাডার রাসেল মিয়া (৩৭), গোলাপগঞ্জের মৃত সৈয়দ কালা মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সইফুল আলম কৌছর (৫০), জালালাবাদ এলাকার ইসকন্দও আলীর ছেলে যুবলীগ ক্যাডার হাফিজুর রহমান (৪২), জগন্নাথপুর উপজেলার মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা আলী আকবর ফয়েজ (৩৭)।
বাদির অভিযোগ- বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। আসামীরা ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন কোটা বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য বিগত বিগত বছরের ১৭ জুলাই রাতের বেলায় সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে একটি গোপন বৈঠকের মাধ্যমে পরদিন পূর্ব থেকে ঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করতে আন্দোলনকারীদের উপর স্বশস্ত্র হামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে আন্দোলন দমন করতে পূর্ব থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমনের জন্য আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরণের মারণাস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান করতে থাকে। সিলেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য মামলার আসামিরা অস্ত্র, বন্দুক, গোলাবারুদ কিনে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘটনার তারিখের আগেরদিন গোপন স্থানে জড়ো করে। বিগত ১৮ জুলাই তারিখে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোটা বাতিলের দাবীর সমর্থনে আয়োজিত কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে পূর্ব থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাথে বাদী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান দেন। সেখান থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে সিলেট শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে আসতে থাকে। সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট পয়েন্টে আসামাত্র আসামীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে বাঁধা দেয়। আসামীদের স্বশস্ত্র বাঁধায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মিছিল ছাত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। বাদীসহ আন্দোলনকারীরা মদিনা মার্কেট পয়েন্ট থেকে বর্ণমালা পয়েন্টের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে আগানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র আসামীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হামলায় বাদীসহ উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহাদের হাতে থাকা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি ও বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র যথাক্রমে হকিস্টিক, চাপাতি, দা, রামদা দিয়ে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করতে থাকে। পরবর্তীতে আসামীরা তাহাদের হাতে থাকা ককটেল, বিস্ফোরক দিয়া আশপাশের দোকানে, গাড়ীতে ও বিভিন্ন প্রতষ্ঠিানে ভাংচুর করিয়া লুটপাট করতে থাকে। এই সময় আসামিদে ছোঁড়া গুলি ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য এর আঘাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে সাহত হন। আসামীদের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে স্পড়েন। এ সময় আসামীরা তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উপস্থিত ছাত্র জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। আসামীর গুলিতে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। আসামিরা বাদীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া বাদীয় মাথা বরাবর গুলি করলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাদীর বাম হাতে লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম গ্রাপ্ত হন। আরেক আসামি বাদীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাদীর বুক বরাবর গুলি করিলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাদীর পেটের বাম পাশে লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। আসামীরা উপস্থিত মাটিতে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতাকে তাহাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ম পেঠাতে থাকে। অন্যান্য আসামীরা তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেধড়ম পেঠাতে থাকে। তাহাদের পিটুনিতে বহু সংখ্যক ছাত্র-জনতা মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।