সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৭'শ মিটার জায়গায় স্থায়ী বাঁধ ও আরমোরিংয়ের জন্য মুক্তারপুর ব্রীজ হতে শাল্লা ব্রীজ পর্যন্ত তিনটি প্যাকেজে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় নোনা ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কাজের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ উঠে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এরই প্রেক্ষিতে পানি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা এই উন্নয়ন প্রকল্পটি পরিদর্শনে আসেন।
শনিবার(৩ মে) বেলা ১২ টায় এই প্রকল্পটি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পে যেভাবে কাজ হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট নয়। খুবই ধীরগতিতে কাজ চলছে। এভাবে কাজ চললে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এখানে ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে যার ফলেই প্রকল্পের কাজে নাজেহাল অবস্থা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চালাচ্ছে। এভাবে কাজ চললে মেনে নেয়া যাবে না। তাই আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে শ্রমিক বাড়িয়ে কাজের মান আরো ভাল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলে দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারনে কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ হয়নি। দুতিনদিনের মধ্যে শ্রমিক আরো দ্বিগুণ করতে হবে। আমি এই কাজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলে যাচ্ছি ভিডিওর মাধ্যমে আমাকে প্রতি সপ্তাহে আপডেট জানাবেন। সরকার কিন্তু ওয়াকিবহাল। আগের মতো নয়। যেকোনো ছোটখাটো একটা অভিযোগ আসলেও এর সত্যতা যাচাই করতে আমরা সচেষ্ট থাকি। এখানে অনিয়ম না পেলেও কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। শ্রমিক সংকটে ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে। তবে কাজের অগ্রগতি মোতাবেক বিল দেওয়া হয়েছে। কাজের চেয়ে বিল বেশি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস,পাউবো সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক,পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাল্লা শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য যে,ফ্রীএফ প্রজেক্ট (স্থায়ী বাঁধ প্রকল্প) আরমোরিংয়ে ৩৭" শ মিটার কাজে চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি। এবং তিনটি প্যাকেজে নোনা এন্টারপ্রাইজের পক্ষে কাজটি করছেন সাব-ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা ভজন তালুকদার। স্থায়ী বাঁধ প্রকল্পটিতে ঝুকিপূর্ণ গর্ত ভরাটে ড্রেজারের দায়িত্বে রয়েছেন এসএস এন্টারপ্রাইজ।