রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের মধ্যে জিআরের চাল বিতরণ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে বিশেষ বরাদ্দ জিআর এর ৩০ মেট্রিক টন চাল বন্টন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিংগা চা বাগানে ১ হাজার ৫ শত চা শ্রমিকদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়ে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পালের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বুলবুল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরতিংগা চা বাগানের ডিজিএম সৌকত আলম হেলালি। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইদ নাজমুল ইসলাম, সাংবাদিক এম, এ, ওয়াহিদ রুলু, সরোয়ার শোকরানা নান্না, বিপ্লব, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন এর মনু-দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী প্রমুখ।

মিরতিংগা চা বাগানের ডিজিএম সৌকত আলম হেলালি জানান, মিরতিংগা চা বাগানের শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহ ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। তবে রেশন চলমান আছে। এছাড়াও গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকায় চা পাতা চয়ন করার পর অন্য বাগানে তা বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক, বাবু, ম্যানেজারসহ আমরা খুবই কষ্টে আছি। স্টাফদের বেতন ৭ মাস, ম্যানেজারসহ বেতন ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। খুবই কষ্টে দিনকাল চলছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, মিরতিংগা চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত ৩০ মেট্রিক টন জিআর চাল ১ হাজার ৫ শত চা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে চা শ্রমিকদের জন্য কোনো সহযোগিতা আসে তাদের সহযোগিতা করে যাবো।

উল্লেখ্য- ভরা মৌসুমে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ফাঁড়িসহ ১৬ টি চা বাগান মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভরা মৌসুমে কোটি কোটি টাকা লোকসান মুখে পড়ছে চা কোম্পানি। এখন কোম্পানির জন্য মরার উপর খরার ঘাঁ এর মত হয়ে দাড়িয়েছে। সরকার যদি দ্রুত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে চা শিল্প ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চা বাগানের কর্তৃপক্ষের অনেকেই জানিয়েছেন। 

এই সম্পর্কিত আরো