রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

ভিজিডি'র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সেই ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে

ভিজিডি'র ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেই ইউপি সচিব ভানু চাঁদ দাসের বিরুদ্ধে। এর আগে ইউপি সচিবের প্রোফাইলে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পরই নানা ধরনের সমালোচনা, বিতর্ক ও তোপের মুখে পড়ে প্রোফাইল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটি ডিলিট করে দেন তিনি। 

এবার ভিজিডি"র টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর নাম বিষ্ণুপদ দাশ। তিনি উপজেলার ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ও উদ্দোক্তা। ভুক্তভোগী ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যাংক এশিয়ার এই এজেন্ট। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট বিষ্ণুপদ দাশের নিকট হতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা নিয়েছিল ইউপি সচিব ভানু চাঁদ দাস। এই টাকা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের কাছে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও দেই দিচ্ছি বলে সেই টাকা আর জমা দেননি সচিব। টাকা দেওয়ার কথা বললে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট বিষ্ণুপদ দাশের সাথে আরো নানা ধরনের তালবাহানা করে আসছেন তিনি। এই অবস্থায় নিরুপায় হয়ে অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিষ্ণুপদ দাশ। কিন্তু অভিযোগ দিয়েও এর কোন সুরাহা পাননি তিনি। 

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট বিষ্ণুপদ দাশ আরো জানান,বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছে দিছলাম কোন সমাধান অইছে না। এই টাকাটা আমার পকেট থেকে দিয়েছি। তিনি বলেন ভানু বাবু এক ওয়ার্ডের ৫৬ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা আমাকে বহন করতে হয়েছে এগুলোর প্রমাণও আছে। আগের ইউএনও আবু তালেব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আল-আমিন চৌধুরীও বিষয়টি সমাধান করে দিতে পারেননি বলে জানান তিনি। 

এবিষয়ে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। 

অভিযুক্ত ইউপি সচিব ভানু চাঁদ দাসকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। দুপুর ২-৩ পর্যন্ত তার অফিসে গিয়ে অপেক্ষা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি। 

একাধিকবার অনেক চেষ্টা করেও ৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যানের ছোট ভাই জুয়েল চৌধুরী জানান চেয়ারম্যান হয়তো ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। 

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন এই বিষয়টি আমার নলেজে এখনো আসেনি। এব্যাপারে আমি খোঁজখবর নেবো।

এই সম্পর্কিত আরো