রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

হাওরাঞ্চলের ধান পরিবহনের সড়কের বেহাল দশা, যুগ যুগ ধরে দূর্ভোগে কৃষক

বোরো ধানের ভান্ডার খ্যাত সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান শুধু খাদ্য নয় কৃষকের ভবিষ্যতে শক্তি সাহস,সংসারের স্বস্তি এনে দেয়। সেই ধান হাওরের গভীরে থাকা জমি থেকে কেটে সড়ক পথে খলায় আনতে হয়। সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে কৃষকগনকে। 

হাওরের সড়ক গুলো পাকা করনের জন্য হাজার হাজার কৃষক দাবী জানিয়ে আসলে আজ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,হাওর থেকে ধান কেটে মাথায় করে হাওরের মুল সড়কে আনতে হয়।  সেই সড়ক গুলো মাটির। এছাড়াও সড়ক গুলো ভাল না থাকায় ট্রলি,অটোরিক্স ও ঠেলাগাড়ী দিয়ে আনতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়ক সড়ো থাকায় দুটি অটোরিকশা এক সাথে ক্রস করতে পারে না। অনেক সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হয় চালক ও কৃষক। আর যদি বৃষ্টি হয় একেবারেই কাঁদায় সয়লাব হয়ে যাওয়ায় পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পরে কৃষকগন। আর পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। সড়কের এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে পাকা সড়ক করার দাবী জানিয়ে আসলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ। এ কারনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে কৃষক সহ সর্ব মহলে।

কৃষক রফিক মিয়া জানান,হাওরের গভীরে জমি আমাদের,সেখান থেকে ধান কেটে মাথায় করে মুল মাটির সড়কে আনতে হয়। পরে ট্রলি, অটোরিকশা,ঠেলাগাড়ি না হয় মাথায় করে খলায় আনতে হয়। বৃষ্টি না হলে কোনো রখমে আনা যায় খলায়। আর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে শেষ,কোনো গাড়ি চলে না অনেক সময় যাবহানের চাক্কা ঘুরে না কাঁদার কারনে। আর যদিও চলে তাহলে আমাদের কষ্টের শেষ থাকে না। 

ধান পরিবহনের ট্রলি চালক মাসুক মিয়া জানান,হাওরের গভীর থেকে ধানের আটি ট্রলি বোঝাই করে আনি। সড়ক গুলো মাটির আর ভাঙ্গা চুরা থাকা প্রায় সময়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। আর বৃষ্টি হলে ত সব শেষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয়। সড়ক গুলো পাকা হলে এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান,হাওরে চারা রোপণ ও পাকা ধান কেটে আনতে সড়ক রয়েছে সে গুলোকে আমরা জাঙ্গল বলি। সেই জাঙ্গাল গুলো মাটির ও সড়ো। আমি আমার পরিষদের বরাদ্দ থেকে সড়ক গুলোতে মেরামতের কাজ করেছি। কিন্তু সড়ক গুলো পাকার করার জন্য আমি প্রস্তাব দিয়েছি কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সে কারনে কৃষকগন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এবং পরিবহন খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান,আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল কাজ করা হচ্ছে। হাওরের ভিতরে প্রবেশ বাহির হবার সড়ক পাকা করার বিষয়ে প্রয়োজন পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

এই সম্পর্কিত আরো