সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪৫) নামে এক ভ্রাম্যমাণপণ্য বিক্রেতা নিহত হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাওনপুর গ্রামের পাশের পাঁচ পীরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর (রফিনগর) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে সিলেট শহরের তেমুখি এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নিপেশ তালুকদার প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে কয়েল, জর্দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করতেন। রোববার সন্ধ্যায় পণ্য বিক্রি শেষে বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ পীরবাজারের পশ্চিমে একটি নির্জন সড়কে ছিনতাইকারীরা তার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। তখনছিন তাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় নিপেশ দৌড়ে বাজারের একটি দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে তারমৃত্যু ঘটে।
খবর পেয়েরাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ওসমীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশসুপার আশরাফুজ্জামান এবং বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী।
এদিকে, ঘটনার পর রাত ৩টার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন থেকে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন ,বাওনপুর চরগাঁও গ্রামের মতছির আলীর ছেলে আতিকুর রহমান এবং বাওনপুর গুচ্ছ গ্রামের মৃত: আব্দুল হামিদের ছেলে জসিমউদ্দিন।
বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক জানান, নিপেশ তালুকদার প্রতিদিন বাইসাইকেলে পণ্য বিক্রি করতেন। রোববার সন্ধ্যায় পণ্য বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তিনি দৌড়ে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান চলছে।