রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সভাপতি নাছির, সম্পাদক রানা - বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন টেস্ট বাণিজ্য - নানান অনিয়মেই চলছে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল! বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান আওয়ামী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নগরীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম চৌহাট্টায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী রহস্য ফাঁস করলেন শিল্পা স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইন্টারপোলে আবেদন - হাসিনা, কাদের, বেনজীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি
advertisement
সিলেট বিভাগ

টেস্ট বাণিজ্য

নানান অনিয়মেই চলছে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল!

‘সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতাল চলছে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায়। এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের মাধ্যমে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কয়দিন পর পর সেবাগ্রহীতাদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। অনিয়মই যেন এই হাসপাতালের নিয়ম হয়ে দাড়িঁয়েছে।  

এই হাসপাতাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে নামি-দামি শিশু চিকিৎসকেরা। যে কারণে শুরু থেকেই জমজমাট এই হাসপাতাল। সাধারণ রোগীদেরকে জিম্মি করে পর্দার অন্তরালে থেকে দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে শিশু চিকিৎসকেরা। তবে রোগীর তুলনায় হাসপাতালটিতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স।

হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে রোগীদের মাঝে রয়েছে নানা ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অনিয়ম চললেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় রয়েছে হাসপাতালটির রিসিপশন ডেস্ক। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে এমাদ উদ্দিন এনাম নামের এক সেবাগ্রহীতা তার ৫ বছরের মেয়কে হাসপাতালে নিয়ে যান। যাওয়ার পর ১০০০ টাকা দিয়ে হাসপাতালের কাউন্টার থেকে একজন শিশু ডাক্তার জাকারিয়া হোসেনর টিকিট নেন । 
টিকিট নেওয়ার পর ডাক্তার দেখার তার শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখান। এরপর ডাক্তার তাকে ৪টি টেস্ট লিখে বাহিরে পাঠিয়ে দেন। ডাক্তারের সহকারী একজন মহিলা শিশুর বাবার হাতে ধরিয়ে দেন গ্রীনভিউ নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাগজ। সেবাগ্রহীতা কিসের কাগজ জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আপনি কোথায় টেস্টগুলো করাবেন তার কাগজ এবং আরোও বলেন টেস্টগুলো তাদের দেওয়া কাগজের ঠিকানায় করাতে হবে। এসময় সেবাগ্রহীতা অন্য কোন ডায়াগনস্টিকে টেস্টগুলো করতে পারবেন কিনা তা জানতে চাইলে সহকারী রেগে গিয়ে বলেন এখানে টেস্ট না করালে ডাক্তার টেস্টের রিপোর্ট দেখবেন না বলে তিনি জানান। এসময় তিনি হাসপাতালে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে কিনা জানতে চাইলে, তাদের হাসপাতালে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই বলে জানান। এরপর তার শিশুর পিতা এনাম তাকে দেওয়া কাগজ নিয়ে তাদের মনোনিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান টেস্ট করার জন্য। সেখানে যাওয়ার পর তিনি দেখেন মাত্র দুজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। কোন রোগী নেই শোনশান নিরবতা। একজন লোককে তার হাতের প্রেসপ্রিকসন দেখিয়ে বলেন এই টেস্টগুলো করাতে কট টাকা লাগবে। জবাবে কর্তৃপক্ষ টেস্ট করাতে সেবাগ্রহীতাকে ৬ হাজার ৭০০ শ টাকা লাগবে বলে জানান। সেবাগ্রহীতা এতটাকার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায় যত টাকা বলেছি তত টাকা দিয়ে করতে হবে। কারণ জানতে চাইলে এক কর্মচারী জানান আমরা হাসপাতালকে ও কমিশন দিতে হয়। এসব শুনে সেবাগ্রহীতা স্থানীয় দুইটি ডায়াগনস্টিকে গিয়ে টেস্টগুলো করতে কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে ৩ হাজার ৫০০ টাকা লাগবে বলে সেবাগ্রহীতাকে জানান। পরে তিনি টেস্ট না করিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে এমন ঘটনা বলে কারণ জানতে চাইলে তারা আবারও তারা বলে তাদের দেওয়া ডায়াগনস্টিকে সেন্টার থেকে টেস্ট না করালে ডাক্তার দেখবেন না।  পরে সেবাগ্রহীতা তার ভিজিটের টাকা ফেরত চাইলে ও না দিলে আইনের আশ্রয় নিবেন বললে হাসপাতালের কতৃপক্ষ টেস্টের কোন টাকা লাগবে না বলেন এবং তাদের ডায়াগনস্টিকে ফ্রি টেস্ট করিয়ে দিবেন বলে সেবাগ্রহীতাকে আশ্বস্ত করেন। সেবাগ্রহীতা বলেন আপনারা আগে বললেন আপনাদের ডায়াগনস্টিক নেই তাহলে কীভাবে দেবেন। পরে তারা স্বীকার করে তাদের হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক রয়েছে। এভাবে কথাকাটাটির একপর্যায়ে তিনি চলে আসেন।  

শিশুর পিতার এনাম আসার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনে ছাড়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন। সমাধান না করলে সেবাগ্রহীতাকে কৌশলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন।  


এ ব্যাপারে সেবাগ্রহীতা জানান, হাসপাতাল একটা কসাই খানা। আমি আমার ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে গেলে আমাকে তারা বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করে এবং পরবর্তীতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এবং এখানে আসা আমার মতো অনেক লোকদের তারা হয়রানি করছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজ আহমদ জানান, এটি প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়, আপনি এডমিন ম্যানেজার মুরশেদ সাহেবের সাথে কথা বলেন।
  
এ ব্যাপারে  সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের এডমিন ম্যানেজারে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই সম্পর্কিত আরো

সভাপতি নাছির, সম্পাদক রানা বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

টেস্ট বাণিজ্য নানান অনিয়মেই চলছে সিলেট মা ও শিশু হাসপাতাল!

বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান

আওয়ামী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নগরীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

চৌহাট্টায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী

রহস্য ফাঁস করলেন শিল্পা

স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ

ইন্টারপোলে আবেদন হাসিনা, কাদের, বেনজীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি