সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের এরালিয়া বাজার হতে ছোয়াপুর পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে তেতুইয়া, এরালিয়া, ছোয়াপুরসহ প্রায় পাঁচ গ্রামের মানুষজন।
রাস্তার উভয় পাশে লোহার রেলিং বসানো হলেও মূল রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন না হলে বৈশাখ মাসের ধান ঘোলায় তুলতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে কৃষকদের।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এরালিয়া বাজার হতে ছোয়াপুর ১ কিলোমিটার রাস্তার পুরো কাজের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি টাকা।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, কাজের দ্বায়িত্ব পান ইভা বিল্ডার্স। কার্যাদেশ ২০২৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির দুপাশে লোহার রেলিং দেওয়া থাকলেও মূল রাস্তায় খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে যানবাহন চলাচলসহ জনচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
কাঠইর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই রাস্তার কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হলে আমরা বৈশাখী ধান ঘোলায় তুলতে পারছি না। চার-পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র চলার রাস্তাই এটি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোশাহিদ মিয়া বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকার ফলে এলাকাবাসীসহ পাঁচটি স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ছোয়াপুরের বাসিন্দা এমরান আহমদ বলেন, রাস্তার দুই পাশে গার্ড ওয়াল দেওয়ার পরে আর কোন কাজ হয়নি, এলাকাবাসী মানববন্ধন করলে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এসে রাস্তায় অল্প মাটি ফেলে চলে যায়।
ইভা বিল্ডার্সের প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন বলেন, আমি ইভা বিল্ডার্সের কাছ থেকে চুক্তিতে কাজটি এনেছি। রাস্তার কাজের মূল বরাদ্দ ২কোটি ৮০ লক্ষ হলেও মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা বিল পেয়েছি। রাস্তার দু'পাশে গার্ডওয়াল নির্মাণ করেছি। বিট বালু না পাওয়ায় মুল রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছি না। এই সপ্তাহের মধ্যে সিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করব। আশা করছি মেয়াদের আগে কাজ শেষ করতে পারব।
এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি। তারা আজ কালের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণের কাজটি শুরু করবে।