শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ‘মেরিন স্পেস্যাল প্ল্যানিং ফর এডভান্সিং সাস্টেইনেবল ব্লু গ্রোউথ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অধিবেশন শেষে একই জায়গায় প্রবন্ধ উপস্থাপকদের পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ৮টি দেশের ২০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে ৮টি সেশনে মোট ১২৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়েছে। সম্মেলনটি আয়োজনে ‘বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ এবং সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের আওতায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সম্পর্কিত জার্মান ফেডারেল মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জিআইজেড বাংলাদেশ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের উপ-প্রধান উলরিখ ক্লেপম্যান, বাংলাদেশ বন বিভাগের ডেপুটি চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট জাহিদুল ইসলাম এবং জিআইজেড বাংলাদেশের বায়োডাইভার্সিটি সেক্টরের কমিশন ম্যানেজার ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোনিওল্ড। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের আহ্বায়ক সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান।
এ সম্মেলনের বিষয়ে শাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গবেষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান একে অন্যের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি। এ সম্মেলনটিতে জ্ঞান আদান প্রদানের সন্নিবেশ ঘটবে। এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকুক।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, অতিরিক্ত শোষণ এবং দূষণের কারণে সমুদ্র অভূতপূর্ব চাপের মধ্যে রয়েছে। সামুদ্রিক স্থানিক পরিকল্পনা পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অগ্রাধিকারের ভারসাম্য বজায় রেখে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি প্রদান করে। এই সম্মেলনটি সময়োপযোগী এবং একটি টেকসই সুনীল অর্থনীতির যৌথ বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করায় জার্মান ফেডারেল মন্ত্রণালয় ও শাবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।