বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটে ঈদের নামাজের ৩ সহস্রাধিক জামাত, মোনাজাতে দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা

২৯ দিন সিয়াম সাধনার পর ধর্মীয় আবহ ও আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে  ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দে মেতেছে মুসলিম সম্প্রদায় । ঈদ মোবারক। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করেন। আজ সোমবার সকালে জামাতে মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় করছেন।

এবার সিলেট জেলা ও মহানগরজুড়ে ৩ হাজার ২৩৮ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামাতে বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। প্রতিটি জামাতে দেশ ও জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জেলা ও মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এবার সিলেট জেলা ও মহানগরজুড়ে ৩ হাজার ২৩৮ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট মহানগরীতে প্রতিবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায়।

শাহী ঈদগাহে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করেন সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খাঁন। এর আগে নসিহত পেশ করেন একই মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা কামাল উদ্দিন।

এছাড়াও দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায়।

শাহী ঈদগাহে সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপি, জামায়েত, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ নামাজ আদায় করেন।

বন্দরবাজারস্থ ঐতিহ্যবাহী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ও তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন আহমদ এবং তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।

সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে পুরো সিলেটজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কড়া। পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঈদগাহ-মসজিদ এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখেন।

মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের জন্য প্রবেশ ও বাইরের পথগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।

এই সম্পর্কিত আরো