সিলেটের কানাইঘাটের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে আমনের সোনালী ধান। যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ। মাঝেমধ্যে বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজের ধানের শীষ। পাকা ধানের মৌ-মৌ গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশের ফসলী মাঠ। মাঠজুড়ে মনের আনন্দে কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন। সোনালী ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কানাইঘাটের কৃষকের মুখে সাফল্যের হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ধানকাটা ও মাড়াই ৭০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মাঠে মাঠে কৃষকেরা মনের আনন্দে গান গেয়ে ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। কৃষাণীরাও ধান রাখার জন্য মাঠ সাজাতে ব্যস্ত রয়েছেন। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই কারো। কোনো কোনো জায়গায় হারভেস্টার মেশিন দিয়েও ধান কাটতে দেখা গেছে। ইদানীং ধান মাড়াই কলের কদরও বেড়েছে বেশ। কেউ ধান দিয়ে আবার কেউ টাকার বিনিময়ে মাড়াই কল ভাড়া করছেন।
তবে এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হলেও ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে বেশ কয়েকজন কৃষক জানান। ধানকাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় কেউ কেউ পরিবারের লোকজন নিয়েই জমির ধান কাটছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা সোনালী আমন ধানের ফসল সঠিকভাবে যাতে করে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন এজন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
কানাইঘাট উপজেলা ধনমাইরমাটি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন নামের একজন চাষী জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন,ভালো ফলন হয়েছে এতে তিনি সন্তুষ্ট।
হাসন আহমদ আরেক চাষী বলেন, অন্য বছরের তুলনায় আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিত রায় জানান, চলতি বছরে প্রকৃতি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এবছর ১৫,৬৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন আমাদের কৃষক ভাইয়েরা। কৃষকরা যাতে করে তাদের পাকা ধান নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন এ জন্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।