✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সিলেটে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা, আসামি আ. লীগের ৩৯০ নেতাকর্মী

সিলেটে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস কায়েস চৌধুরীসহ ৩৯০ জনকে আসামি হয়েছে।


নগরীর তোপখানা সুরমা ভ্যালি ১৩৬ বাসার বাসিন্দা রাশেদ আহমদ বাদী হয়ে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ।


এজাহারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস কায়েস চৌধুরী ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আব্দুল হাফিজের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওরপে পাথর শামীম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ বলেন, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলাটি করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, আদালতে মামলা হলেও এখনো আদেশের কপি পৌঁছায়নি। আদালতের আদেশের কপি পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা নগরের সুরমা মার্কেট পুলেরমুখ এলাকায় অবস্থান করছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোটরসাইকেল মিছিলে ছিলেন ভিকটিমসহ অন্যান্যরা। মোটরসাইকেল মিছিল আসতে দেখেই গুলিবর্ষণ করতে থাকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে থাকা সন্ত্রাসীরা। এতে ভিকটিম তথা মামলার বাদী রাশেদ আহমদের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অপর আসামিরা তাকে কোপাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদী রাশেদ পঙ্গুত্ববরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই সম্পর্কিত আরো