দিরাইয়ে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে দিরাই থানা পুলিশ।
জানা যায়, অটো রিকশায় তুলে ভুল পথে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে মেয়েটি লাফ দিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে নিজেকে রক্ষা করে। এসময় মেয়েটির হাত ও কপালে গুরুতর জখম হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু কাপড়চোপড় কেনার জন্য তারা তিনজন দিরাই পৌর শহরে আসে। অন্য দুইজনের কেনাকাটা শেষ হওয়ায় তারা আগেই চলে যায়। সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি কেনাকাটা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় আরও দুই যুবক অটো রিকশার দুই দিকে উঠে পড়ে। এরপরই চালক অটোরিকশা চালিয়ে দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটি দেখতে পায় অটো মেইন সড়ক দিয়ে যাচ্ছে। তখনই অটোরিকশা থামাতে বলে চালককে। এই কথা বলার পরই পাশে থাকা দুইজন তাকে জাপটে মুখ চেপে ধরে এবং মুঠোফোন কেড়ে নেয়। তখন মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এভাবে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় অটোরিকশা পার্শ্ববর্তী শান্তিগঞ্জ উপজেলার দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আসে। এই সময় জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে কোনো রকমে ছাড়িয়ে মেয়েটি চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান, রাত নয়টার দিকে আমার এক আত্মীয় ঢাকা থেকে ফোন করে জানান, আমার মেয়েকে দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আহত অবস্থায় সড়কের পাশে পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের জিম্মায় তাকে রাখা হয়েছে। পরে আমরা গিয়ে রাত ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি স্পর্শকাতর বিষয়, আমরা গুরত্বের সঙ্গে দেখছি। সিএনজিসহ ঘটনায় জড়িত উপজেলার জকিনগর গ্রামের চালক ইমন খান (২৫), মিঠু মিয়া (২৬) কে আটক করা হয়েছে।