সিলেট-জকিগঞ্জ রোডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হারিস চৌধুরীর উদ্যোগে নির্মিত একটি সড়কের নামফলক সম্প্রতি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ১১ মার্চ মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।মরহুম আবুল হারিস চৌধুরীর নাম ফলক ভাঙার খবরে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। সিলেটসহ দেশজুড়ে এ ঘটনায় তুলাপাড় সৃষ্টি হয়। বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ। এনিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। বিষয়টি নজরে আসায় ফলকটি পুনরায় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। তবে নামফলক ভাঙার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার ও আটক করতে পারেনি জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপির সরকারের আমলে সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের আটগ্রাম থেকে কালিগঞ্জ যাওয়ার পথে পেট্রো-বাংলা রোডটি নির্মাণ বাস্তবায়ন ও অতঃপর উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিস চৌধুরী। তৎকালীন সময়ে এই সড়কটিসহ কানাইঘাট-জকিগঞ্জে স্কুল-কলেজ, সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর। তিনি কানাইঘাট-জকিগঞ্জেরর সার্বিক উন্নয়নের প্রাণপুরুষ ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি মহলের উস্কানিতে মরহুম হারিছ চৌধুরীর নাম সম্বলিত এই ফলকটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
এই ঘটনায় জেলা বিএনপি নেতা সালেহ আহমদ খসরু ফেসবুকে লিখেন, এই লজ্জা কানাইঘাট জনপদের দায়িত্বশীলদের। আমি বলি-যেহেতু জনাব হারিস চৌধুরী আর ফিরে আসবেন না তাহলে কিসের ভয়! হ্যা ভয় আপনারা সত্যকে পাচ্ছেন। চোখ মুদে জানুন-সত্য অনস্বীকার্য।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জকিগঞ্জ-কানাইঘাটসহ সিলেটের উন্নয়নে মরহুম জাতীয় নেতা হারিস চৌধুরীর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। একটি স্বার্থানেষী মহল সিলেটের কৃতীসন্তান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিস চৌধুরীর নামফলক ভেঙে তাঁর নাম মুছে ফেলতে চাচ্ছে। সেটা হতে দেয়া হবে না, কারণ জনগণের মন থেকে তাঁর নাম কখনো মুছতে পারবে না। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। আমরা আশা করছি অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেবেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জ-ই-মুন্না জানান, হারিছ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উনার নামফলক যারা ভেঙেছে তাদেরকে আটকে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা আইনগতভাবে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এস এম মুজিবুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে স্থাপনা পুন: নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন, তবে এটা কত সালে উদ্বোধন হয়েছে আমার কাছে তথ্য নেই। আমরা খোঁজখবর নিয়ে শিগগিরই ফলক পুন:নির্মাণের কাজ শুরু করব।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ওসি সাহেব আমাকে এই বিষয়ে অবগত করেছেন এবং থানা-পুলিশ দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমি ফলকটি পুনরায় স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছি।