✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

জামালগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান পুড়ে ছাই, আহত ১

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফারুক মিয়ার দোকানে থাকা আছানউল্লাহর ছেলে ফারদিন (১৪) নামের এক কিশোর কোমরের নিচ পর্যন্ত পুড়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এদিকে অগ্নিকান্ডের প্রায় দেড় ঘন্টা পর জেলা ও উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রাথমিকভাবে এতে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা জানা গেছে।


সোমবার  (১০ মার্চ) ভোরে উপজেলার সাচনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মশার কয়েলের আগুন থেকে আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 
বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে সেহেরী ও ফজর নামাজের পর পরই সাচনা বাজারের সিএন্ডবি রোডে অবস্থিত ফারুক মিয়ার কনফেকশনারি দোকানের জ্বলন্ত কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ওই ঘরে বিক্রির উদ্দেশ্যে থাকা পেট্রোল থেকে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই মুহুর্তে এক এক করে ১৩টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে দোকান মালিকরা খবর পেলে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় লোকজনদেরকে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিক মুহুর্তে তা সম্ভব হয়নি। পরে ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর সুনামগঞ্জ ফায়ারসার্ভিস ও জামালগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই মো: জাফর মিয়া, সিদ্দিক আলী, মো: ফারুক মিয়া, আলামিন মিয়া, নিখিল সরকার, দিলোয়ার মিয়া, জুয়েল আহমদ, মানিক মিয়া, সনজিদ দে, মো: হারুন মিয়া, আঃ রহিম, রিংকু রায় ও সুরঞ্জন সরকারসহ সকলের  মালিকানাধী স্যানেটারী, মুদিমাল, মোবাইল, কনফেকশনারী, মিষ্টি ও সেলুনসহ ১৩ টি দোকান ঘরে থাকা নগদ টাকা, ফ্রিজ, মোবাইল, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামালসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা জানান তারা।

ক্ষোভ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক দোকান মালিক বলেন, জামালগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস থাকলেও নদীর ওপারে থাকায় আমরা এর সুফল পাইনা। জেলার সবচেয়ে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী সাচনা বাজারে কয়েক বছর পরপরই বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০ কিলামিটার দূর জেলা শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ১০/১৫ টি দোকান ঘরে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

জামালগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার উত্তম কুমার সরকার বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জামালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চাইলে আমরা নদী পার হয়ে সেখানে যাই। এবং দুটি ইউনিট মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পুলিশের টিমসহ পরিদর্শনে গিয়েছি। দোকানে থাকা একটি কিশোরের কোমর পর্যন্ত পুড়ে গেছে। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ডিসি মহোদয়ের নির্দেশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রতিবেদন আকারে জেলায় পাঠানো হয়েছে। ডিসি স্যারের পরবর্তী নির্দেশনা ও সহায়তা আসার সাথে সাথেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এই সম্পর্কিত আরো