✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

কোম্পানীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকদের মুখে হাসি

আব্দুল আলীম,  কোম্পানীগঞ্জ 

সিলেটের কোম্পানীগন্জ উপজেলা জুড়ে ছিল এবার দৃষ্টিনন্দন সোনালী ফসল আমন আর আমন। বাম্পার ফলন হয়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে।

 অন্যান্য বছর টার্গেট থেকে ফলন কম হয়ে থাকলেও এবার ছাড়িয়ে গেছে সরকারী টার্গেট। ফলন বেশি হওয়ায় এবার কৃষকদের মুখে মধুর হাসি। আবহাওয়া অনুকুল থাকায়, অকাল বন্যামুক্ত হওয়ায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে ও পোকামাকড়ের দংশন না থাকায় এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কলাবাড়ী গ্রামের মিজানুর রহমান  জানান-নিম্নাঞ্চলের কিছু জমিতে ধান কাটার কাজ অব্যাহত থাকলেও উপজেলার সব ক'টি ইউনিয়নে ধান কাটা ও মাড়াই শতকরা   ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ধানকাটা শ্রমিক সংকট থাকায় কিছুটা বিলম্ভ হয়েছে। বন্যা ও জলাবদ্ধতা না থাকায় এবছর পতিত জমির পরিমান কম ছিল বলেও জানান তারা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা উপ সহকারী কৃষি   কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল আহমেদ নাসিম,  জানান, পরিবেশ অনুকুল থাকায় এবার আমন ফসলের টার্গেট ছিল ৯ হাজার ৯শ' ৮৫ মেট্রিক টন। সরকারি এ টার্গেট ছড়িয়ে এবার আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার ৩ শ' মেট্রিক টন।

উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন  জানান, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৯৭৭ হেক্টর।
 ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছিল ১০ হাজার ৩০৩ হেক্টর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধান এর আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো জমি আবাদের লক্ষমাত্রা ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর রয়েছে।

তিনি বলেন- বোরো আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় চলতি রবি মৌসুমে * বোরো ধান (হাইব্রিড জাতের) বীজ ১ হাজার ৫০ জন কৃষককে ২ কেজি করে প্রদান করা হয়েছে।  তিনি বলেন- উফসী জাতের এই * বোরো ধান ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি করে ডিএপি সার মোট ২ হাজার ৮৫০ জন কৃষককে প্রদান করা হয়েছে। 

আগামী দিনে আমনের ন্যায় বোরো ধানের ফলনও বাম্পার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এই সম্পর্কিত আরো