শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিজিবির টহলদলের দুই সদস্য। এ সময় জব্দ করা চোরাচালানও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠা চালায় তারা।পরে বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলায় জড়িত দুই চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মধ্যরাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার মৌলারপার সীমান্ত এলাকায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান, পিএসসি।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিজিবির টহল দল রাতে সীমান্তবর্তী এলাকার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সীমান্ত
পিলার ১২৩৪/৫-এস থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মৌলারপার এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৩হাজার ২২০ কেজি বাংলাদেশী রসুন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চোরাচালান নিয়ে ফেরার পথে ২০০-২৫০ চোরাকারবারি জড়ো হয়ে লাঠিসোটা, রাম দা, বল্লম ও ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রসহ বিজিবি টহলকে বাঁধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তাদের লাঠির আঘাতে দুইজন বিজিবি সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বিজিবির শক্ত অবস্থানের কারণে চোরাকারবারীরা জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে চোরাকারবারীরা বিজিবির সোর্স সন্দেহে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলামিনের বাড়ীতেও হামলা করে।তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।পরে স্থানীয় জনতা ও বিজিবির সহায়তায় পুলিশ দুই চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মোবারক হোসেন। তাদের নেতৃত্বেই চোরাকারবারীরা বিজিবির টহল দলের ওপর হামলা করে জব্দ করা চোরাচালান ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান পিএসসি বলেন, উর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সম্পূর্ণরূপে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তিনি স্থানীয় জনসাধারণ এবং অন্যান্য সকল সংস্থাকে বিজিবির কাজে সহায়তা করার অনুরোধ করেন।