✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সুনামগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন


শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ: 
সুনামগঞ্জে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত ও পলিমাটি পড়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান চাষীরা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগের বেশি ধান কাটা শেষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরো প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

চলতি মওসুমে আমন ফসলের উৎপাদিত ধানের বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় চার লাখ চাষী পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ চাষী পরিবার আমন চাষে যুক্ত। চলতি বছর জেলায় ৮৩ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে প্রায় ৮৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর। এবার আরো প্রায় ৩ হাজার মে.টন ধান বেশি উৎপাদিত হবে। সব মিলিয়ে চলতি মওসুমে ৩ লক্ষ ২১ হাজার মে.টন ধান এবার উৎপাদিত হবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় চলতি আমন মওসুমে ২৫ প্রজাতির ধান চাষাবাদ হয়েছে। হাওর এলাকা হলেও সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলায় আমন চাষের ফলন হয়েছে বেশি। আমন ধানের মধ্যে বিনা ১৭, ব্রি ৪৯, ৯০, ৯৫ ও বিআর-২২, ব্রি ধান-৮৭ ভালো চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ধানও ভালো ফলন হয়েছে। এপ্রিল, মে ও জুনে বন্যার কারণে আমন ক্ষেতে পলি পড়ায় ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, প্রতি বিঘায় ১৪-১৮ মন ধান উৎপাদিত হয়েছে। হেক্টর প্রতি ধানে ৪.১ মে.টন (ধান) ও ২.৭৩ মে.টন (চাল) আমন ফসল উৎপাদন হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৫০ ভাগেরও বেশি জমির আমন ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার খাইমতিয়র গ্রামের কৃষিজীবী ছাদিকুর রহমান বলেন, এবার আমন ধান অন্য বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে। তিন দফা বন্যায় পলিমাটি পড়ে জমি উর্বর হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের কৃষিজীবী মো. মুহিবুর রহমান বলেন, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। 

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ২০২৪-২০২৫ আমন মওসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিকটন ধান বেশি উৎপাদিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটাও প্রায় ৫০ ভাগের বেশি শেষ হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো