✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

প্রবাসীরা সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেদের নিবেদিত করেন : অ্যাডভোকেট জামান

দৈনিক শ্যামল সিলেট'র সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেছেন, প্রবাসীরা নাড়ির টানে দেশে আসেন। সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেদের নিবেদিত করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিন তেমনী একজন। দেশে স্কুল-কলেজ, মসজিদ এবং মাদরাসাসহ মানুষের কল্যাণে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজে তিনিসহ তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। তাকে দেখে অন্য যারা প্রবাসীও উন্নয়নমূলক কাজকর্মে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশে এগুলোর প্রয়োজন রয়েছে। রফিক উদ্দিনসহ অন্যান্য প্রবাসীদের দেখে মানুষ উজ্জ্বীবিত হবে এবং তাদের উন্নয়ন ও আর্ত মানবতার সেবা অব্যাহত রাখবে, আশাবাদি তিনি।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিন একজন তরুণ ব্যবসায়ী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করা সত্বেও মা ও মাটির টানে বারবার দেশে ফিরে আসেন। দেশেও তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিন একজন সৎ এবং সাহসী তারুণ্যের প্রতিক। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শুক্রবার বাদ জুমা সিলেটের লালাবাজার এলাকায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিনের অর্থায়নে আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবদুল মুকিত, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিন আহমদ ও সাইস্তা মিয়া।

প্রবাসী রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, মানুষের সেবা করা হচ্ছে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। বিগত দিন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা মানুষের সেবা করে আসছি। প্রবাসীরা দেশের মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামিতেও আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন- সিলেটি প্রবাসীরা দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই শীতবস্ত্র বিতরণ উদ্যোগটি অত্যান্ত মহৎ উদ্যোগ। সামনের দিনে মহতি উদ্যোগকে অব্যাহত রেখে কর্তৃপক্ষ একটি উইমেন্স মেডিকেল কলেজ স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করছেন। সমাজে সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করার যে মানসিকতা সেটা হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো দেখলেই অনুমান করা যায়। রফিক উদ্দিনকে দেখে অন্যান্য প্রবাসী ও তরুণরা মানুষের কল্যানে কাজ করতে উদ্যোগী হবেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- লালাবাজারের বিশিষ্ট মুরুব্বি হাজী রুশন মিয়া, লালাবাজারের ব্যবসায়ী বিলাল খান, মুরুব্বি দলা মিয়া, আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইসরাইল আলী বাদল, লালাবাজার কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আলী, লালাবাজার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হেলাল উদ্দিন, লালাবাজার আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ।

বক্তব্যে এলাকার বাসিন্দারা বলেন- যেকোনো দুর্যোগে রফিক উদ্দিনসহ এলাকার প্রবাসীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি যুবসমাজের সবাইকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ নতুন নয়। তাদের এই কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকুক, এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলহাজ্ব রইছ মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হাফিজ আজাদুর রহমান।

এই সম্পর্কিত আরো