২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এই প্রথম ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এটি চালু হওয়ার পর থেকে স্বল্প মূল্যে এক্স-রে সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। এতে রোগীদের অনেকটা ভোগান্তি দূর হয়েছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, এক্সরে মেশিনের কিছু পার্টস না থাকায় দীর্ঘদিন এর কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। পরে এক্সরে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে পার্টস এনে পুনরায় সচল করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডিজিটাল এক্সরে সেবা নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ভিড়। হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে করাতে পেরে খুশি তাঁরা। এছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবাও চালু রয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বৃদ্ধি করার দাবি সুনামগঞ্জবাসীর।
স্থানীয় সমাজকর্মী শওকত আলী বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে স্থাপিত হয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবাও চালু রয়েছে। এজন্য হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ডিজিটাল এক্সরে চালু হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা ভালো সেবা পাচ্ছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জের বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, ‘সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। সত্যি এটি হাওর বাসীর জন্য আনন্দের। এক্সরে মেশিন চালু হওয়ায় রোগীরা স্বল্প মূল্যে সেবা নিতে পারছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের রোগীরা দীর্ঘদিন এক্সরে সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিছু পার্টস না থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের অফিসিয়ালি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এক্সরে মেশিনের কোয়ালিটি খুবই ভালো এবং পরিচ্ছন্ন। 'এরকম উন্নত মানের সার্ভিস আমার জানামতে জেলার আর অন্য কোথাও নাই' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন হওয়ার পর থেকে স্বল্প মূল্যে এক্স-রে সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। এতে করে সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিও দূর হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য সেবার মানও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।