✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
দেশের অস্থিতিশীলতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি, পরামর্শও দেবে স্বীকৃতি পেতে লন্ডন প্রবাসী পিতার বিরুদ্ধে পুত্রের মামলা এপির প্রতিবেদন - শেখ হাসিনার পতনের ৬ মাস পরেও অস্থিরতায় হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ শাবির ‘খোয়াই বন্ধন’র সভাপতি মোরশেদ, সম্পাদক শাকিল শাবিতে আইপিই বিভাগের দুই দিনব্যাপী ‘তিন দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী’ সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকালে গোয়াইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের শোক তারেক রহমানের নির্দেশ ভালবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে : আনিসুল দৈনিক সবুজ সিলেট সম্পাদকর শোক - সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকাল সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের শোক কোম্পানীগঞ্জে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ - উদ্বোধন করতে গেলেন খামার , অতঃপর ধরে নিয়ে গিয়ে করলেন জরিমানা
advertisement
সিলেট বিভাগ

আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যার রায় কার্যকর নিয়ে হতাশা

নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় হত্যাকান্ডের মৃত্যুদন্ডাদেশ হাই কোর্টের আপীল বিভাগে ৫ বছর ধরে ঝুলে আছে। রায় কার্যকর না হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার। 

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি স্বীকৃত ঘাতক রানু রায়কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ বিগত ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারী হাইকোর্টে আপিল মামলা নং-১৯৮/২০১৯ইং দায়ের করেন। ওই সনের ২২ জানুয়ারী আপিল আবেদনটি শুনানী শেষে আমলে নেন মহামান্য হাইকোর্ট। কিন্তু অদ্যাবধি মামলার আর কোন অগ্রগতি নেই। ফলে কার্যকর হচ্ছে না আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় হত্যাকান্ডের মৃত্যুদন্ডাদেশ। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় বাসা থেকে বেড় হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তন্নীর বাবা বিমল রায়। ৩ দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে কলেজ তন্নী’র বস্তাবন্দি লাশ নবীগঞ্জ শহরতলীর বরাক নদীতে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। 

লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় কেউ লাশ সনাক্ত করতে পারেনি। পরে লাশের সঙ্গে পাওয়া একটি চাবি দিয়ে তন্নীর সুকেজের তালা খুলার পর নিশ্চিত হয় উদ্ধারকৃত লাশটি তন্নীর। এর পর থেকে হত্যাকারীর খোজে মাঠে নামে পুলিশ। পরে তন্নীর প্রেমিক রানু রায়কে সন্দেহমুলকভাবে আটক করা হয়। পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে রানুর পিতা কানু রায়সহ পরিবারের সবাই বাসায় তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপণ করেছিল। পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বস্তা ও ডিসের তার জব্দ করে। একই রকম বস্তা ও ডিসের তার তন্নীর লাশের সঙ্গে পাওয়া যায়। রানু পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে সেখানে ফুটপাতে কাজ করতো। পুলিশের ভয়ে বন্ধ করে দেয় নিজের ব্যবহৃত মোবাইলও। তার বাবা কানু রায়ও তার মোবাইলটি বন্ধ রাখে। ফলে পরিবারের কারও সাথে তার যোগাযোগ ছিল না। এরই মাঝে রানু একদিন তার বাবার নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে পারে পরিবারের সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার কারণে সবাই কষ্ট করছে দেখে রানু আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে পুলিশও রানু ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারে জন্য জাল বিস্তার করে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি কেএম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হত্যাকান্ডের ২০ দিন পর বি-বাড়িয়া শহরের বাদুঘর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে রানু রায়কে গ্রেফতার করে। পরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে ঘাতক রানু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে রানু রায় জানায়, তন্নী রায়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রানু রায় অসুস্থতার ভান করে কল দিয়ে প্রেমিকা তন্নী রায়কে তার বাসায় নিয়ে আসে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদের মাঝে মতানৈক্য দেথা দিলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তন্নীকে আঘাত করে এবং গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পুর্বে তন্নীকে ধর্ষণ করেছিল প্রেমিক রানু রায়। পরে মরদেহ পাটের বস্তায় বন্দি করে এর সাথে ৯/১০টি ইট রাতের আধারে স্থানীয় বরাক নদীতে ফেলে দেয়। তন্নী নিখোঁজের ৩দিন পর নদীতে তন্নীর বস্তাবন্দী লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আলোচিত এ হত্যাকান্ডের ১ বছর ৭ মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি রানু রায়কে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালত।

তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায় তার মেয়ে তন্নী হত্যাকান্ডের রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু হাইকোর্টের আপিল মামলার (নং-১৯৮/২০১৯ইং, এনেক্স ভবন-কোর্ট নং-১৬) বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক এবং বিচারপতি জাফর আহমেদ এর আদালতে রয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারে হতাশা দেখা দিয়েছে। তিনি মৃত্যুদন্ড দ্রুত কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

এই সম্পর্কিত আরো

দেশের অস্থিতিশীলতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি, পরামর্শও দেবে

স্বীকৃতি পেতে লন্ডন প্রবাসী পিতার বিরুদ্ধে পুত্রের মামলা

এপির প্রতিবেদন শেখ হাসিনার পতনের ৬ মাস পরেও অস্থিরতায় হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ

শাবির ‘খোয়াই বন্ধন’র সভাপতি মোরশেদ, সম্পাদক শাকিল

শাবিতে আইপিই বিভাগের দুই দিনব্যাপী ‘তিন দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী’

সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকালে গোয়াইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের শোক

তারেক রহমানের নির্দেশ ভালবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে : আনিসুল

দৈনিক সবুজ সিলেট সম্পাদকর শোক সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকাল

সাংবাদিক মাহমুদ হোসেনের মায়ের ইন্তেকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের শোক

কোম্পানীগঞ্জে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্বোধন করতে গেলেন খামার , অতঃপর ধরে নিয়ে গিয়ে করলেন জরিমানা