হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান আযমীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী তদন্ত ও বিচারিক কমিটি আজ এই নোটিশ জারি করে।
কমিটির সদস্য মো. মেহেদী হাসান সুমন স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ২৭ ডিসেম্বর শনিবার বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিতে দলীয় ব্যানারসহ জামায়াত মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান আযমী এবং দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ক্যাম্প চলাকালীন উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রার্থীর জন্য দোয়া এবং দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’র পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর বিধি ৪(১) এবং ১৮-এর পরিপন্থী।
এমতাবস্থায়, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না—সে বিষয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জিল্লুর রহমান আযমীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শোকজের চিঠির বিষয়ে তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত নন। তিনি দাবি করেন, ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ তিনি করেননি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এবং প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসমাগম করে ভোট প্রার্থনা করা আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "আচরণবিধিতে এমন কিছু সুস্পষ্টভাবে নেই।"
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।