গোলাপগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট ফেইজ–২’-এর আওতায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই সহোদরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চারজন এবং যুবলীগের একজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। গত তিন দিনে এসব অভিযানে মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর সদরের আহমদ খান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সদরের স্বরস্বতী নিজগঞ্জ এলাকার আব্দুল মুকিতের ছেলে মো. সোয়িন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঘোষগাঁও টিলাগাঁও এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুছ ছামাদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত দুটি মামলা রয়েছে।
এরপর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে আরেকটি অভিযানে উপজেলার ভাদেশ্বর মোকাম বাজার এলাকা থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ দরগা দাইর গ্রামের শেখ সাইমুল ইসলাম রুবাবকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর সদরের উত্তরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একই পরিবারের দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন দাড়িপাতন গ্রামের ফারুক আহমদের পুত্র রুমেছ আহমদ (৩৫) ও ইমতিয়াজ আহমদ (২৫)। তাদের বিরুদ্ধেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) মো. আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।