উপজেলা প্রশাসনের অভিযান এবং থানা পুলিশের টহল থাকা সত্বেও থামছে না বন্ধ থাকা কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন। প্রতিদিন শতাধিক ইঞ্জিন চালিত বারকি নৌকা দিয়ে সেলমেশিনের সাহায্যে কোয়ারীর বিপদজনক এলাকা থেকে দিনরাত শত শত ঘন ফুট পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধ পন্থায় উত্তোলনকৃত পাথর নৌকা, ট্রাক্টর ও ট্রাক দিয়ে পরিবহণ করা হচ্ছে।
এদিকে কোয়ারী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলে মাঝেমধ্যে। পাথর জব্দ, নৌকা ও ইঞ্জিন বিকল, পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার মেশিন ধ্বংশ করার পরও পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা।
শনিবার (২০ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহদী হাসান শাকিলের নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট তাপস চক্রবর্তী তুষার সাতবাঁক ইউনিয়নের বাংলাবাজারের অদুরে অভিযান চালিয়ে পাথর ভাঙ্গার একটি অবৈধ ক্রাশার মেশিন ইঞ্জিন সহ ধ্বংশ করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ভুমি কর্মকর্তা বলেন লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পাথর জব্দ সহ অন্যান্য কার্যক্রম আমরা করে আসছি। পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
এদিকে কোয়ারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে অবৈধ ভাবে বারকি নৌকা দিয়ে সেলমেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন বাড়ছে। একটি সংঘবদ্ধ পাথর খোকো চক্র এসব অবৈধ পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রশাসন তাদের অনুকুলে রয়েছে নাম করে বারকি নৌকা দিয়ে পাথর উত্তোলনে উৎসাহ দিয়ে আসচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে উত্তোলনকৃত পাথর বেপরোয়া ভাবে ট্রাক্টর ও ট্রাক দিয়ে পরিবহণ করে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের মন্তাজগঞ্জ বাজার, দনা সুরমা বাজার, জয়ফৌদ সুরমা নদীর ঘাট, আন্দোরমুখ বাজার, লোভারমুখ বাজার, বাংলা বাজার, সড়কের বাজারের আশপাশ সহ বিভিন্ন এলাকা এবং জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম বাজারের পাশে মজুদ করে প্রথমে রাখা হয়। এরপর তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। পাথর পরিবহনের সময় প্রশাসনের নামে গাড়ি প্রতি ১ থেকে ২ হাজার তুলে নেয় একটি অসাধু চক্র।
কোয়ারী থেকে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন এালাকার সচেতন মহল।