মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটবাসীসহ বিশ্বের সব প্রান্তে অবস্থানরত বাঙালিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিজয় দিবসের এক শুভেচ্ছা বার্তায় অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কৃষিজীবী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে জানাই বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতি কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ভরে উঠুক সবার জীবন।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে আনেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর জাতির অহংকার, আনন্দ আর বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন। আমি স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।’
বিগত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা জামান বলেন, ‘আগ্রাসী শক্তি ও তাদের এদেশীয় এজেন্টরা আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। গত ১৬ বছর ধরে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করে দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার দুনিয়া কাঁপানো আন্দোলনে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম একনায়কের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। দেশে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা জেগে উঠেছে।’
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অ্যাডভোকেট জামান বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বিঘ্নে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকবো।’