সিলেট মহানগর তাঁতীদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত ও সাবেক নেতারা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের কাছে এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সিলেট মহানগর তাঁতীদলের সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুল গফফার ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল কয়েস স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে নবগঠিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন এবং ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় তাঁতীদল দলের দুঃসময়ে হাজী আব্দুল গফফারকে সভাপতি ও ফয়েজ উল কয়েসকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘সুপার ফাইভ’ কমিটি অনুমোদন দেয়। কিন্তু ওই কমিটিকে কোনো প্রকার অবহিত না করেই গত ৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করে ফেসবুকের মাধ্যমে ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, নবগঠিত এই কমিটিতে সিলেট শহরের ‘চিহ্নিত আওয়ামী লীগের দোসর’ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত কয়েছ আহমদকে আহ্বায়ক এবং আরেক আওয়ামী লীগ ঘেঁষা জসীম উদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও আমিনুল হক বেলালকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের কাছে কমিটির সত্যতা জানতে চাইলে তিনি জানান, মহানগরের কমিটি গঠনের দায়িত্ব সিলেট জেলার আহ্বায়ক ফয়েজ আহমদ দৌলতকে দেওয়া হয়েছিল। সাবেক নেতাদের দাবি, ফয়েজ আহমদ দৌলত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে এই পকেট কমিটি গঠন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তুলে বলেন, সাবেক কমিটিকে ‘স্থবির ও ব্যর্থ’ আখ্যা দিয়ে বিলুপ্ত করা হলেও, সেই কমিটিরই ‘নিষ্ক্রিয়’ সহ-সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনকে নতুন কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, সাবেক কমিটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং ত্যাগীদের কোণঠাসা করতেই এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় নেতৃবৃন্দ বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমান নির্বাচনী ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের ঐক্য ধরে রাখতে হলে অবিলম্বে এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে ওয়ার্ড পর্যায়ের নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে নতুন এবং গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান তারা।